Site icon Jamuna Television

ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় সেতু থেকে ফেলে দিলো বখাটেরা

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় স্কুলগামী ছাত্রীদের ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় আকমল হোসেন রুমেল নামে এক ব্যক্তিকে সেতু থেকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে দুই বখাটের বিরুদ্ধে। এঘটনায় কুলাউড়া থানায় মামলার পর এক বখাটেকে আটক করেছে পুলিশ। আহত আকমল হোসেন রুমেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের মীরের গ্রামের বাসিন্দা আবুল হোসেনের পুত্র আকমল হোসেন রুমেল ও তাঁর চাচাতো ভাই আনকার হোসেন মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তাদের দুই শিশুকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। রাউৎগাঁও ইউনিয়নের মীরেরগ্রাম ও মুকুন্দপুর এলাকার মধ্যবর্তী বাড়ুয়া ছড়া নামক স্থানে বখাটে বেলাল হোসেন রানা ও জয়নাল আবেদীন রণিকে স্কুলগামী ছাত্রীদের ইভটিজিং করতে দেখে প্রতিবাদ করেন। এনিয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে বখাটেরা ধাক্কা দিয়ে রুমেলকে সেতু থেকে ফেলে দেয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রুমেলের কোমরের হাড় ভেঙে গেছে এবং বাম হাতের কব্জিতে জখম হয়েছে।

বখাটে বেলাল হোসেন রানা রাউৎগাঁও ইউনিয়নের মুকুন্দপুর গ্রামের রমজান মিয়ার ছেলে আর জয়নাল আবেদীন রণি একই ইউনিয়নের একিদত্তপুর গ্রামের আজির উদ্দিনের ছেলে। রানা উপজেলার লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজ ও রনি শাহজালাল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।

শাহজালাল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কবির মিয়া জানান, রনি স্কুলের অনিয়মিত ছাত্র। এর আগেও সে ছাত্রীদের সাথে খারাপ আচরণ করেছে।

কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইয়ারদৌস হাসান বলেন, এ ঘটনায় আকমল হোসেনের ভাই দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে দুজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Exit mobile version