Site icon Jamuna Television

পার্বত্য জেলাগুলোয় পদে পদে চাঁদাবাজি, চাঁদার টাকায় কেনা হচ্ছে অস্ত্র

লাগামহীন চাঁদাবাজি চলছে তিন পার্বত্য জেলায়, পাশাপাশি অপহরণ। সশস্ত্র চারটি গোষ্ঠী সরাসরি জড়িত এই চাঁদাবাজি-অপহরণে। পাহাড়ি-বাঙালি কেউ বাদ যাচ্ছে না, তাদের আক্রোশ থেকে। তিন’শ কোটি টাকার চাঁদার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে ঘটছে খুনোখুনি। এই চাঁদার টাকা ব্যবহার হচ্ছে নতুন অস্ত্র কেনায়।

জুমে উৎপাদিত সবজি স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে দৈনন্দিন খরচ মেটান হহ্লা মারমা। তার মতো অনেকেই বাড়তি পন্য বাজারে আনেন বিক্রির জন্য। উপার্জনের আশায় বাজারে এলেও, ঘরে ফেরেন হতাশা নিয়ে। আয়ের একটা অংশ যে রেখে দেয় স্থানীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।

সাধারণ পাহাড়িদের কেউই মুখ খুলতে চান না এ নিয়ে। কারণ মুখ খুললেই, চড়া মাশুল।

ভুক্তভোগি রুপকুমার চাকমা জানান, এক ছড়া কলা বিক্রি করলেও চাঁদা দিতে হয়, প্রতি পরিবারে ৫০০-১০০০ চাঁদা দিতে হয়।

পাড়ার প্রায় প্রতিটি ঘর থেকে বাৎসরিক আদায় করা হয় চাঁদা। বাজারের দোকান থেকেও আদায় করা হয়। এতে অতিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা।

পাহাড়ে চাঁদা আদায়ে নিজস্ব নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো। চাঁদা, বাঁশ, কাঠ পাচারের অর্থে নিজেদের শক্তি বাড়াচ্ছে সন্ত্রাসীরা।

স্থানীয়রা বলছেন, নিত্য চাঁদাবাজির কারণে দাঁড়াতে পারছে না পাহাড়-অর্থনীতি।

Exit mobile version