Site icon Jamuna Television

তার মেয়েই তাকে করোনা দিয়ে ইতালিতে চলে গেছেন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রথম যে ব্যক্তি মারা গেছেন তিনি তার মেয়ের থেকে সংক্রমিত হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, যিনি মারা গেছেন তার বয়স ৭০’র ওপর। তার কিডনি রোগ ছিল, ডায়াবেটিস ছিল, হার্টের রোগ ছিল। নানাবিধ অসুখে ভুগছিলেন তিনি। এরপর হলো করোনা। তার মেয়েই তাকে করোনা দিয়ে ইতালিতে চলে গেছেন।

দেশে পর্যাপ্ত টেস্টিং কিট আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আরও অনেকে পাইপলাইনে আছে। অনেক দেশই আমাদের টেস্টিং কিট ও অন্যান্য প্রটেকটিভ দিয়ে সহায়তা করতে চাইছে। বিদেশে যেসব ভাইবোনেরা আছেন তারা এই মুহূর্তে দেশে আসবেন না। দেশে এসে আপনারা আপনাদেরই নিকটজন, প্রিয়জনদের বিপদে ফেলছেন, দেশকে ক্ষতি করছেন।

মন্ত্রী বলেন, আমরা ঢাকা শহরে আরও বেশ কয়েকটি হাসপাতাল চিহ্নিত করেছি। কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতাল ছাড়া আরও কয়েকটি হাসপাতালে আমরা বেডের ব্যবস্থা করেছি। যেখানে ২০০০ হাজার রোগী একসাথে থাকতে পারবে। বিশ্ব ইজতেমার ময়দান সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে দেয়া হয়েছে। সেখানে প্রয়োজনে তারা কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা নেবেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চীন পরিস্থিতি সামাল দিতে লকডাউন করেছে। তেমন পরিস্থিতি মনে হলে আমরাও লকডাউনের দিকে যাবো। যেসব এলাকা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ মনে হবে, সেখানেই লকডাউনে যাওয়া হবে। এটাই করোনাভাইরাস ঠেকানোর একমাত্র উপায়।

এসময় শরীয়তপুর, মাদারীপুরের মতো এলাকাগুলো তুলনামূলক ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করেন মন্ত্রী। বলেন, এসব এলাকায় অনেক মানুষ বিদেশে থাকে। ইতিমধ্যে, দেশে ৫ হাজার মানুষ কোয়ারেন্টাইনে আছে। এটিকে সরকারের একটা বড় সাফল্য বলে মনে করেন মন্ত্রী।

Exit mobile version