Site icon Jamuna Television

করোনা নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ি, বিশ্বব্যাপী ঝুঁকিতে টিকাদান কর্মসূচি

কোভিড নাইনটিন নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ির মধ্যে বিশ্বব্যাপী ঝুঁকিতে পড়েছে শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি। ইউনিসেফ বলছে, এর ফলে অনিশ্চয়তার মুখে আট কোটি নবজাতকের জীবন। পরিস্থিতির ভয়াবহতায়, অন্যান্য রোগের ব্যাপক বিস্তারের শঙ্কাও করছে জাতিসংঘ।

করোনা মহামারির লড়াইয়ে ব্যস্ততায় বিশ্বজুড়ে ব্যাহত হচ্ছে নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচি। ফলে ডিপথেরিয়া, হাম, পোলিও’র মতো প্রতিষেধকে নির্মূলযোগ্য রোগগুলোর ফিরে আসা নিয়ে শঙ্কিত জাতিসংঘ।

ইউনিসেফ’র নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েত্তা ফোর বলেন, “মহামারির কারণে সারা পৃথিবীর স্বাস্থ্যসেবা দুর্বল হয়ে পড়েছে। নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচিতে বাধা পড়ায় ঝুঁকিতে পড়েছে ৬৮টি দেশের এক বছর বয়সী আট কোটির বেশি শিশু। এক রোগ মোকাবেলা করতে গিয়ে দীর্ঘমেয়াদে প্রতিরোধযোগ্য রোগ ডেকে আনছি আমরা।”

এদিকে, চীন-যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপের পর দক্ষিণ আমেরিকাকে মহামারির নতুন কেন্দ্রস্থল বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

প্রতিবেশী পেরুতে ৬ মার্চ প্রথম সংক্রমণ শনাক্তের পর, আড়াই মাসে আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে। লকডাউন সত্ত্বেও চিলি, বলিভিয়া, ইকুয়েডরেও পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হুশিয়ারি, ঘনবসতিপূর্ণ লাতিন আমেরিকা এখন মহামারির নতুন কেন্দ্র।

ডব্লিউএইচও’র জরুরি বিভাগের প্রধান মাইক রায়ান বলেন, “দক্ষিণ আমেরিকার অনেক দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুতগতিতে বাড়ছে। অঞ্চলটি এরই মধ্যে মহামারির নতুন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এর ওপর সবচেয়ে বিপর্যস্ত ব্রাজিল সরকার চিকিৎসার জন্য হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহারে অনুমোদন দিয়েছে; যে ওষুধটিকে কোনো গবেষণাই সমর্থন করছে না।”

Exit mobile version