Site icon Jamuna Television

নোয়াখালীতে বিবস্ত্র করে গৃহবধূ নির্যাতনের ঘটনায় রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ

রাজনৈতিক দলগুলোর আশ্রয় প্রশয়ের কারণে সর্বোচ্চ আইন থাকার পরও ধর্ষণ মামলার বিচার হয়না। নোয়াখালীর ঘটনায় ৯০ দিনের মধ্যে জড়তিদের ফাঁসি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে পরিবেশবাদী যুব সংগঠন গ্রিন ভয়েস।

সকালে রাজধানীর আসাদগেট এলাকায় এক ঘণ্টার মানববন্ধনে এ দাবি জানান তারা। একই দাবিতে সোচ্চার নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও শিক্ষার্থীরা। প্রতিটি ধর্ষণ ধামচাপা দিতে যারা সমঝোতা করে তাদেরকেও আইনে আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। প্রয়োজন হলে আলাদা ট্রাইব্যুনাল করে জনম্মুখে বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করা এখন সময়ের দাবি। একই সঙ্গে দলমত স্বজন ভুলে ধর্ষণকারীদের চূড়ান্ত অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করার দাবি জানান নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।

‘ধর্ষণের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ শিরোনামে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়েছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট ও প্রগতিশীল পেশাজীবীরা। শাহবাগে প্রতিবাদ সভার পাশাপাশি কালো পতাকা মিছিল করেন তারা। পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অভিমুখে কালো পতাকা মিছিল নিয়ে যাবেন তারা। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া ‘ধর্ষণ কোন দেশে ঘটে না’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের প্রতিবাদ জানান আন্দোলকারীরা। তারা বলেন, নারী নির্যাতনের ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। সেখানে তার এ ধরণের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য অগ্রহণযোগ্য। অবিলম্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন আন্দোলনকারীরা।

দেশব্যাপী যৌন হয়রানি, নারীর প্রতি সহিংসতা ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে কুমিল্লায়। বিক্ষোভকারীরা আইন সংশোধন করে ধর্ষনের শাস্তি যাবজ্জীবন পরিবর্তন করে মৃত্যুদন্ড দেয়ার দাবি জানায় আন্দোলনকারীরা। সকালে কুমিল্লার পূবালী চত্ত্বরে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভে অংশ নেয়। বক্তারা নোয়াখালীতে গৃহবধুকে শ্লীলতাহানি ও সিলেট, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে নারীদের উপর সহিংসতায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

সকাল সাড়ে ১০ টায় রংপুর মহানগরীর প্রেসক্লাব, লালবাগ, কাচারীবাজার এলাকায় ধর্ষন ও নীপিড়ন বিরোধী ছাত্র জনতার ব্যানারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। বুকে ধর্ষন বিরোধী বিভিন্ন ধরনের লেখা প্লাকার্ড নিয়ে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী আন্দোলনকারী কর্মসূচিতে অংশ নেয়। প্রেসক্লাবের সামনের মানবন্ধনে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবি সংগঠনের পক্ষ থেকে একাত্মতা প্রকাশ করা হয়। এছাড়া ঠাকুরগাঁও এবং ঝিনাইদহে বিক্ষোভ হয়েছে।

বেলা সাড়ে ১১টায় বরিশাল নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে মহিলা পরিষদ সহ বিভিন্ন সংগঠন ও নানা পেশার মানুষ কর্মসূচিতে অংশ নেয়। নারী নির্যাতনের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বক্তারা। একই দাবিতে বেলা ১২টার দিকে বরিশাল প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদ নামে একটি সংগঠন।

Exit mobile version