Site icon Jamuna Television

ভ্রাম্যমাণ আদালতে ভেঙে গেল বিয়ের স্বপ্ন!

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:

প্রেমের টানে প্রেমিকা প্রেমিকের বাড়িতে হাজির। এ ঘটনায় হতবাক প্রেমিকের পরিবার। সারাদিন চেষ্টা করেও প্রেমিকাকে তার বাড়িতে ফেরত পাঠানো গেল না। অবশেষে ডাকা হলো নরসিংদীতে থাকা তার অভিভাবক খালাত ভাইকে। তিনি ভৈরব আসলেন; কিন্ত বিয়ে না করে নাছোড়বান্দা প্রেমিকা বাড়ি ফিরে যাবেন না। এদিকে দু’জনের কারও বিয়ের বসয় না হওয়ায় প্রেমিকের পরিবারও বিয়েতে অপারগতা প্রকাশ করতে থাকে। একপর্যায়ে বাধ্য হয়েই প্রেমিকের পরিবার পুলিশকে খবর দেয়।

খবর পেয়ে পুলিশ এসে দু’জনকে থানায় নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানেও মেয়েকে বুঝাতে ব্যর্থ হয়। পরে উপায় না দেখে পুলিশ শুক্রবার রাতে দু’জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে পাঠায়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা ফারজানা প্রেমিককে শাকিলকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং প্রেমিকা তানিয়া আক্তারকে পুলিশের জিম্মায় দিয়ে নরসিংদীতে তার মায়ের কাছে পৌঁছে দিতে আদেশ দেন।

জানা যায়, আটমাস আগে ফেসবুকের মাধ্যমে তানিয়া আক্তার ও শাকিলের প্রেম হয়।তারপর মোবাইলে কথাবার্তা চলতে থাকে। এরমধ্য দু’জনের দুইবার সাক্ষাতও হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে শাকিল তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে শুক্রবার ভৈরবে তার বাসায় আসতে বলে। তানিয়া আক্তার তার পরিবারের সম্মতি আছে কিনা জানতে চাইলে শাকিল বলেছে সব ঠিকঠাক আছে। তার কথা অনুযায়ী তানিয়া শুক্রবার সকাল ১১ টায় ভৈরবে তার প্রেমিকার বাসায় আসে।

তখন শাকিল তাকে দেখে পরিবারের কাছে প্রেমের কথা স্বীকার করলেও ভৈরবে আসার কথা অস্বীকার করে। তারপর তানিয়ার খালাত ভাইকে ডেকে আনা হয়। দুই পরিবার ঘটনাটি সারাদিন মীমাংসা করতে না পেরে সন্ধ্যায় পুলিশকে খবর দেয় শাকিলের পরিবার। তারপরই পুলিশ তাদেরকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে নিয়ে যায়।

ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মোঃ শাহিন জানান, প্রেমিক-প্রেমিকা দু’জনই অপ্রাপ্ত বয়স্ক। তাই বাধ্য হয়েই বিষয়টি সুরাহা করতে ভ্রাম্যমাণ আদালতে পাঠানো হয়েছে। সেখানে বিষয়টির সমাধান হয়েছে।

Exit mobile version