Site icon Jamuna Television

প্রবাসী স্বামীর পাঠানো টাকা ব্যাংক থেকে তুলতে এসে প্রতারণার শিকার নারী

স্টাফ রিপোর্টার, নরসিংদী:

নরসিংদীর মাধবদীতে প্রবাসী স্বামীর পাঠানো টাকা ব্যাংক থেকে তুলতে এসে প্রতারণার শিকার হয়েছেন এক নারী। ব্যাংক কর্মকর্তার কাছ থেকে ৫১ হাজার টাকা উত্তোলনের পর তা গুণে দেওয়ার কথা বলে ওই টাকা নিয়ে পালিয়ে যান এক ব্যক্তি। আজ সোমবার দুপুর একটার দিকে মাধবদীর সোনালী ব্যাংকের শাখায় এই প্রতারণার ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় মাধবদী থানার পুলিশ সোনালী ব্যাংকের ওই শাখায় এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে ব্যাংকটির ওই শাখায় কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকায় প্রতারক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করতে পারছে না পুলিশ। পরে কোনো উপায় না পেয়ে ওই নারী অশ্রুভেজা চোখে বাড়ি ফিরে যান।

প্রতারণার শিকার ওই নারীর নাম হালিমা বেগম (৪০)। তিনি মাধবদীর খিদিরকান্দি গ্রামের কুয়েত প্রবাসী পরশ আলীর স্ত্রী। স্বামীর পাঠানো টাকা ব্যাংক থেকে তুলতে এসেছিলেন তিনি। অন্যদিকে প্রতারক ওই ব্যক্তির বয়স ৫০ এর কাছাকাছি। তার গায়ের রং কালো এবং ঘটনার সময় মাথায় টুপি পরিহিত ছিলেন তিনি।

ওই নারী জানান, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য এই প্রথম টাকা পাঠিয়েছিলেন আমার কুয়েত প্রবাসী স্বামী। আজ দুপুর একটার দিকে ওই টাকা তোলার জন্য সোনালী ব্যাংকের শাখার ক্যাশ কাউন্টারে ৫১ হাজার টাকার চেক জমা দেই।

তিনি বলেন, টাকা হাতে পাওয়ার পর ওই টাকা গুণে দিতে এগিয়ে আসেন পাশে থাকা এক ব্যক্তি। তিনি এগিয়ে এসে বলেন, আপনি এতো টাকা গুণতে পারবেন? দেন, গুণে দিই। পরে ওই টাকা গুণে দেওয়ার পর আমার হাতে দিলে আমি তা ভ্যানিটি ব্যাগে রাখি। কিন্তু ব্যাংক থেকে বের হওয়ার সময় দেখি টাকাগুলো নেই, ওই ব্যক্তিও নেই।

ওই নারী আরও বলেন, আমি সবসময়ই এই ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে আসি কিন্তু এমন ঘটনা কোনোদিন ঘটেনি। করোনার এই সময়ে এরইমধ্যে অনেক টাকা ঋণ হয়ে আছি, এখন কীভাবে কী করবো কিছুই বুঝতে পারছি না।

সোনালী ব্যাংকের মাধবদী শাখার ব্যবস্থাপক নূরে আলম জানান, আজ দুপুরে ওই নারী আমাদের শাখা থেকে টাকা উত্তোলনের পর এক ব্যক্তিকে টাকাগুলো গুণে দেওয়ার অনুরোধ করেন। প্রতারক ওই ব্যক্তি কৌশলে টাকাগুলো নিয়ে পালিয়েছেন। আমাদের ব্যাংক সংশ্লিষ্ট কাউকে যদি টাকাগুলো গুণে দিতে বলতেন তাহলে এমন ঘটনা ঘটতো না। পুরো ঘটনাটি ওই নারীর বোকামির কারণে ঘটেছে।

ব্যাংকটিতে সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকা প্রসঙ্গে তিনি জানান, সোনালী ব্যাংক একটি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান। আমরা চাইলেই তো সিসিটিভি ক্যামেরা কিনে সংযুক্ত করতে পারি না। তবে যোগদানের পরপরই সিসিটিভি ক্যামেরার জন্য সদর দফতর বরাবর আবেদন দিয়েছি।

মাধবদী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক রুবেল আহমেদ জানান, থানায় এসে হালিমা বেগম নামের এক নারীর মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা সোনালী ব্যাংকের সেই শাখায় যাই। তবে ব্যাংকটির ওই শাখায় একটিও সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকায় পালিয়ে যাওয়া ওই প্রতারককে চিহ্নিত করা যায়নি। তাকে সান্ত্বনা দেওয়া ছাড়া আর কিছু করার নেই।

ইউএইচ/

Exit mobile version