Site icon Jamuna Television

৬ শর্তে মেয়াদ বাড়লো লকডাউনের

মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের জারিকৃত এক আদেশে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ল আরও ১ মাস। ৬টি শর্তে ১৬ জুন মধ্যরাত থেকে ১৫ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে।

বুধবার লকডাউনের বিধিনিষেধ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ। আদেশ অনুযায়ী ব্যাংক লেনদেনের সময় বাড়ানো হয়েছে আধা ঘণ্টা, সকাল ১০ থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত লেনদেন চলবে ব্যাংকে। তবে অভ্যন্তরীণ কাজের সমন্বয়ের জন্য ব্যাংকগুলো বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের জারিকৃত আদেশটিতে বলা হয়, ৬ টি শর্তে লকডাউনের বিধিনিষেধ সমূহ কার্যকর হবে-

১. কোভিড-১৯ এর উচ্চ ঝুঁকি সম্পন্ন জেলার জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) সংশ্লিষ্ট কারিগরি কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে নিজ নিজ এলাকায় সংক্রমণ প্রতিরোধে বিধি মোতাবেক লকডাউনসহ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।

২. সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে।

৩. সব পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।

৪. জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক (বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান/ওয়ালিমা, জন্মদিন, পিকনিক, পার্টি ইত্যাদি), রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

৫. আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ ও খাবারের দোকানগুলো সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খাদ্য বিক্রয়/সরবরাহ (টেকওয়ে/অনলাইন) করতে পারবে এবং আসন সংখ্যার অর্ধেক সেবাগ্রহীতাকে সেবা দিতে পারবে।

৬. সব ধরনের গণপরিবহণ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি পালন সাপেক্ষে ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচলের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করবে।

করোনার সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় চলতি বছরের ৫ এপ্রিল সকাল ৬টা থেকে লকডাউন শুরু হয়। তবে অনেকটাই অকার্যকর ছিলো সেই শিথিল লকডাউন। পরে ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ৮ দিনের কঠোর লকডাউন দেওয়া হয়।

পরে সাত দফায় নানা শর্ত দিয়ে চলাচলে বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ৬ জুন বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও ১০ দিন বাড়িয়ে আদেশ জারি করে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ।

সেই মেয়াদ শেষ হয় বুধবার মধ্য রাতে (১৬ জুন)। এর আগে বন্ধ থাকলেও সর্বশেষ ২৩ মে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ থেকে বিধিনিষেধ বাড়ানোর প্রজ্ঞাপনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আন্তঃজেলা বাস, লঞ্চ এবং ট্রেন সহ সব ধরনের গণপরিবহণ চলার অনুমতি দেওয়া হয়। একই সঙ্গে হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো আসন সংখ্যার অর্ধেক মানুষকে সেবা দেওয়ার অনুমতি পায়। আন্তঃজেলা গণপরিবহণও এই বিধি নিষেধের আওতায় পড়বে।

সদ্য জারিকৃত লকডাউনের আগে থেকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান ও শপিং মল সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা ছিল। খোলা ছিল শিল্প-কারখানা। এছাড়া জরুরি সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো যথারীতি সীমিত পরিসরে চলছিল।

Exit mobile version