Site icon Jamuna Television

কোপার ফাইনালে আগামীকাল মুখোমুখি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল

কোপায় শেষ হাসি কে হাসবে তা জানা যাবে রোববার। ছবি: সংগৃহীত

কোপা আমেরিকার ফাইনালে আগামীকাল রোববার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে স্বাগতিক ব্রাজিল।

রিও ডি জেনেরিওতে অবস্থিত মারাকানা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায়।

ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার লড়াই মানেই মর্যাদার লড়াই। এ যেন ৯০ মিনিটের হঠাৎ থমকে যাওয়া পৃথিবী, দম বন্ধ করা এক পরিস্থিতি। সেই সাথে সৃজনশীল ফুটবলের নান্দনিকতা আর চায়ের কাপে ঝড় তোলার বড় উপলক্ষ্য। কখনও কখনও এই সবকিছুকেও ছাড়িয়ে যায় দুই ল্যাটিনের ধ্রুপদী লড়াই।

লিওনেল স্কালোনির হাত ধরে আর্জেন্টিনা অপরাজিত টানা ১৯ ম্যাচ। তিতের ব্রাজিলও হারেনি টানা ১৩ ম্যাচ। দুই দলের খেলোয়াড়রা দুর্দান্ত ছন্দে থাকাতেই সম্ভব হয়েছে এটা। প্রতিপক্ষের শক্তি-দুর্বলতা জেনে ফাইনালের একাদশ গড়তে অবশ্য হিমশিমই খাওয়ার কথা দুই দলের কোচের। কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনালে গোল হজম করেননি ব্রাজিলের ম্যানসিটি গোলরক্ষক এদেরসন। ব্রাজিলের রাইটব্যাক দানিলোর জায়গা পাকা হলেও লেফটব্যাকে রেনান লোদির সঙ্গে লড়াই অ্যালেক্স সান্দ্রোর। সেন্টারব্যাকে মার্কিনোসের সঙ্গী হিসেবে রিয়ালের এদের মিলিতাও নাকি চেলসির ৩৭ বছর বয়সী থিয়াগো সিলভা থাকছেন সেটি জানা যাবে ফাইনালেই।

ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক থিয়াগো সিলভা বলেন, আমি শুধু বিশ্বাসই করি না বরং আমি নিশ্চিত যে মেসি একজন অপরিহার্য খেলোয়াড় যিনি একাই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন। অবশ্যই আমরা তাকে নিয়ে পরিকল্পনা সাজিয়েছি। আমাদেরও নেইমার আছেন যিনি কিনা একাই ম্যাচের ফল বদলে দিতে পারেন। আমি বিশ্বাস করি এটি দুর্দান্ত একটি ম্যাচ হতে যাচ্ছে।

২০০৭, ২০১৫ ও ২০১৬ কোপার ফাইনালে গোল পাননি লিওনেল মেসি। এমনকি ২০১৪ বিশ্বকাপ ফাইনালেও গোলহীন তিনি।

১৯৯৩ সালের পর থেকে শিরোপা খরায় থাকা আর্জেন্টিনা এবার মুখিয়ে কিংবদন্তি ফুটবলার লিওনের মেসির হাতে শিরোপা তুলে দিতে।

৪-৩-৩ ছকে খেলা আর্জেন্টিনার গোলপোস্টে এমিলিয়ানো মার্তিনেজের বিকল্প নেই। সেমিফাইনালে তিনটি শট ঠেকিয়ে তিনি এখন আর্জেন্টাইন নতুন বীর। সেন্টারব্যাক হিসেবে ভরসা হতে পারতেন ক্রিস্তিয়ান রোমেরো। আতালান্তার এই তরুণ ইনজুরির জন্য বেঞ্চেও ছিলেন না সেমিফাইনালে। তবে গতকাল দলের সঙ্গে অনুশীলন করায় আশা শেষ হয়ে যায়নি রোমেরোর।

আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলের গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ বলেন, আমরা ব্রাজিলের শক্তিশালী আক্রমণভাগ সম্পর্কে সবাই জানি। নেইমার, ফিরমিনো, রিশার্লিশনের দক্ষতা যে কারো জন্যই চ্যালেঞ্জের। আমি এবং আমার দল সেটির জন্য প্রস্তুত। আমরা এই ম্যাচের জন্য অপেক্ষায় ছিলাম দীর্ঘ দিন। মারাকানায় সেরাটা উজাড় করতে প্রস্তুত সবাই।

১৯৩৭ সালে কোপা আমেরিকার ফাইনালে প্রথম মুখোমুখি হয় দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল। সেবার ব্রাজিল হারলেও ২০০৪ ও ২০০৭ সালের ফাইনালের জয় পায় ব্রাজিল। আর ২০০৫ সালে কনফেডারেশনস কাপেও আর্জেন্টিনাকে হারায় ব্রাজিল।

আর্জেন্টিনার জার্সিতে প্রথম শিরোপার অপেক্ষায় ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি। তবে দেশের মাটিতে কোপার ফাইনালে কখনও হারেনি ব্রাজিল।

Exit mobile version