Site icon Jamuna Television

‘ফিলিস্তিনের বীরকন্যা’ তামিমির প্রকাশ্য বিচারে ইসরায়েলের ভয়

ইসরায়েলি সৈন্যের গালে চড় বসিয়ে ‘ফিলিস্তিনের বীরকন্যা’ খেতাব পেয়ে যাওয়া ১৬ বছরের আহেদ তামিমির বিচার নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েছে ইসরায়েল। উন্মুক্ত আদালতে বিচারের পরিবর্তে অকুতোভয় এ কিশোরীকে সামরিক আদালতে রুদ্ধদ্বার বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে।

তামিমির পরিবার উন্মুক্ত বিচারের জন্য সামরিক আদালতে আবেদন করেছিল। কিন্তু, আবেদন খারিজ করে দিয়ে রুদ্ধদ্বার বিচারই অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে ইসরাইল। ফলে, প্রকাশ্যে বিচার হলে ন্যায়বিচার পাওয়ার যতটুকু সম্ভাবনা ছিল তাও এখন নেই বললে চলে।

সোমবার তামিমির আইনজীবী গ্যাব লাস্কি বলেন, রুদ্ধদ্বার বিচারের বিরুদ্ধে বিবাদী আপিল করলে তা নাকচ করে দেন মিলিটারি ট্রাইব্যুনাল।

চার মাস আগে পশ্চিমতীরের আবু সালেহ গ্রামে নিজ বাড়ির সামনে ইসরায়েলি সেনাকে চপেটাঘাত করেছিল ১৭ বছরের কিশোরী তামিমি। জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বীকৃতির প্রতিবাদে বিক্ষোভের মধ্যে ইসরায়েলি সেনারা তামিমিদের বাড়ির সামনে অবস্থান নিলে এ ঘটনাটি ঘটে।

পরে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমে উসকানিমূলক প্রতিবেদন প্রকাশের পর মধ্যরাতে তামিমিকে নিজ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান দখলদার সেনারা।

১৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া বিচারে তামিমির বিরুদ্ধে হামলাসহ ১২টি অভিযোগ আনা হয়। দোষী সাব্যস্ত হলে তার দীর্ঘমেয়াদে কারাদণ্ড হতে পারে।

অবশ্য, ইসরায়েলি সেনাদের সাথে তামিমি বরাবরই কঠোর। দু’বছর আগে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টাকালে এক ইসরায়েলি সৈন্যের হাত কামড়ে দিয়েছিলো সে। তারও আগে ২০১২ সালে ইসরায়েলি সৈন্যদের সাহসের সাথে মোকাবেলার জন্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান তাকে আমন্ত্রণ করে নিয়ে গিয়ে পুরস্কৃত করেছিলেন। তামিমির বয়স তখন ছিল মাত্র ১১ বছর।

যমুনা অনলাইন: টিএফ

Exit mobile version