Site icon Jamuna Television

খাগড়াছড়িতে মাংসের জন্য ফাঁদ পেতে কুকুর শিকার!

কুকুর শিকারের জন্য বাঁশ ও দড়ি দিয়ে বানানো ফাঁদ পেতে বসে আছে একদল শিকারি। খাগড়াছড়ির দীঘিনালা এবং রাঙ্গামাটির লংগদু ও বাঘাইছড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায়ই দেখা যাচ্ছে এমন চিত্র। আইন অমান্য করে গত কিছুদিন ধরেই সক্রিয় এই চক্র। স্বীকার করেন, বিক্রি ও খাওয়ার জন্যই এই শিকার।

এদিকে নিধন কাজে সহায়তা করছেন স্থানীয়রাই। কুকুরের কামড়ে পথচারি ও গৃহপালিত প্রাণীদের আহত হওয়ার ঘটনাও প্রায়শ ঘটছে বলে জানান তারা। কুকুরের উৎপাতে অতিষ্ঠ জনগণই শিকারিদের ডেকে ধরিয়ে দিচ্ছেন কুকুরগুলো। সেসব কুকুরের মাংস কেজি প্রতি ২০০ টাকা দরে বিক্রির পাশাপাশি নিজেরাও খাচ্ছেন শিকারিরা।

গবেষকদের বলছেন, প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় কুকুরসহ প্রতিটি প্রাণীই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বন্য প্রাণী আইন লঙ্ঘন করে বেওয়ারিশ কুকুর নিধন ও পাচার করছে একটি চক্র। খাগড়াছড়ির জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. নুরুল আফসার খাওয়া বা অন্য কোনো কারণে এরকম অবাধে কুকুর শিকারকে বেআইনী বলে জানান।

অন্যদিকে কুকুরের উৎপাত বন্ধে শিকার নয়, বরং আইন ও পরিবেশসম্মত সমাধান হচ্ছে কুকুর বন্ধ্যাকরণ বলে মন্তব্য করেন চাইনিজ একাডেমি অব সায়েন্সের গবেষক ও পশুচিকিৎসক নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, বন্ধ্যাকরণের পাশাপাশি গণটিকাদানের আওতায় নিয়ে আসতে হবে কুকুরদের। তাহলে এদের জনসংখ্যাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে, এদের মধ্যে জলাতঙ্ক ছড়ানোর ঝুঁকিও থাকবে না।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার তথ্য মতে, খাগড়াছড়ি জেলায় ১৬,৭৪৪ টি কুকুরকে জলাতঙ্কের টিকা দেয়ায় এগুলো ঝুঁকিমুক্ত। পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে শিকার করা বেশিরভাগ কুকুর মিজোরামে পাচার হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

Exit mobile version