Site icon Jamuna Television

ব্রিটেনের ঘোষণার পরই হামাস নির্মূলে ক্ষ্যাপাটে হয়ে উঠেছে ইসরায়েল

ছবি: সংগৃহীত

হামাস নির্মূলে ক্ষ্যাপাটে হয়ে উঠেছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করা হবে ব্রিটেনের এ ঘোষণার পরই শুরু হয়েছে সাঁড়াশি অভিযান। হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ ফিলিস্তিনিরাও।

দখলকৃত পশ্চিমতীর এবং জেরুজালেমে রাতের অন্ধকারেই চলছে চিরুনি অভিযান। ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী আইডিএফ অভিযোগ করেছে, সাম্প্রতিক নাশকতাগুলোর সাথে জড়িত ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারই সূত্র ধরে গত দুই দিনে আটক করা হয়েছে অর্ধ-শতাধিক মানুষকে।

গত সপ্তাহেই ব্রিটেন ঘোষণা দেয়, স্বাধীনতাকামী সংগঠনটিকে সন্ত্রাসী ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করার মাধ্যমে নিষিদ্ধ করা হবে। যাকে স্বাগত জানিয়েছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছি। নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঠেকাতে তারা এরইমধ্যে শুরু করেছে সাঁড়াশি অভিযান। ভবিষ্যৎ হামলা নস্যাতে ইসরায়েল প্রস্তুত। হামাসকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে ব্রিটেনের সিদ্ধান্ত স্বাগত জানাই। প্রত্যাশা করছি ইউরোপের বাকি দেশগুলোও বুঝতে পারবে। রাজনৈতিক ইন্ধন আর অর্থ সহযোগিতা ছাড়া কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন চলতে পারে না।

অপরদিকে হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম বলেন, হামাসকে জঙ্গি সংগঠন আখ্যা দেয়া ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে অপরাধের শামিল। দীর্ঘদিনের স্বাধীনতা আন্দোলন এবং ইতিহাসকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ন্যাক্কারজনক এ সিদ্ধান্ত। এমনকি গোটা বিশ্বে যারা ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ানো তাদের উদ্যোগের বিরুদ্ধেও এটি অন্যায়। কার্যকর হলে সেটা হবে ব্রিটেনের রাজনৈতিক এবং নীতিগত পাপ। তারা ফিলিস্তিনের ওপর হামলার পথ পরিষ্কার করলো।

চলতি বছর মে মাসে ইসরায়েলের সাথে ১১ দিনের তুমুল লড়াই হয় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের। সেসময় অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়েও নাস্তানাবুদ হয় ইহুদি সেনাবাহিনী। মিসরের মধ্যস্থতায় অস্ত্রবিরতি কার্যকর হলেও দখলকৃত ভূখণ্ডে বর্বর নির্যাতন বহাল রেখেছে জায়নবাদী এ রাষ্ট্র।

Exit mobile version