Site icon Jamuna Television

রাতে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে লঞ্চের কেবিন ভাড়া, সকালে তরুণীর লাশ উদ্ধার

ঢাকা-বরিশাল রুটের নৌযান এমভি কুয়াকাটা-২ লঞ্চের কর্মচারী কেবিন থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে লঞ্চটি বরিশাল ঘাটে পৌছলে কেবিনের ভিতরে মরদেহটি দেখতে পায় কর্মচারীরা। তাৎক্ষনিক পুলিশে খবর দেয়া হয়। ওই নারীকে পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধে হত্যা করা হতে পারে বলে ধারনা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

লঞ্চের স্টাফ সূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে সদরঘাট থেকে কুয়াকাটা-২ লঞ্চের একটি স্টাফ কেবিন ভাড়া নেয় এক যুবক। ওই যুবকের সাথেই ছিলেন নিহত নারী। রাতে লঞ্চটি বরিশালের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। পরবর্তীতে রাত ১১টার দিকে টিকিট কাটতে গিয়ে দুইজনকে কেবিনেই দেখতে পায় কর্মচারীরা। সকালে লঞ্চটি বরিশালঘাটে পৌঁছালে কেবিনে বাইরে থেকে তালা দিয়ে পালিয়ে যায় অজ্ঞাত ওই যুবক। পরে কর্মচারীরা পাশের অপর একটি কেবিন থেকে ভিতরে নারীর লাশ দেখতে পায়।

আরও পড়ুন: পরকীয়ার জেরে পুলিশ কর্মকর্তার পুরুষাঙ্গ কাটলেন স্ত্রী

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা। প্রযুক্তির মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয় মৃত নারীর পরিচয়। তিনি রাজধানীর তেজগাও কুনিপাড়া এলাকার এনায়েত হোসেন ফকিরের মেয়ে শারমিন আক্তার।

পিবিআইয়ের পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম বলেন, ফিঙ্গার প্রিন্টে নিহত তরুণীর নাম ও পরিচয় পাওয়া গেছে। তবে বিস্তারিত কোনো তথ্য মেলেনি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বরিশাল নৌ পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। নারীর সাথের ওই যুবকই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তাকে খুব শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে।

Exit mobile version