Site icon Jamuna Television

ভালোবাসায় সিক্ত যমুনা টিভি পরিবার

পাঁচ-এ পা দিলো দেশের জনপ্রিয় সংবাদভিত্তিক চ্যানেল যমুনা টেলিভিশন। নির্ভুল তথ্য দর্শকের কাছে পৌঁছে দেয়ার অঙ্গীকার সামনে রেখে চার বছর আগে যাত্রা শুরু চ্যানেলটি। দর্শকের ভালোবাসা আর অনুপ্রেরণায় অবিরাম ছুটে চলেছে যমুনা। জন্মদিনে সেই দায়িত্ববোধ-অঙ্গীকার আরেকবার মনে করিয়ে দিলেন বিশিষ্টজনসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।

দিনভর সাজসাজ রব ছিল ফিউচার পার্ক এলাকায়। অবশ্য যমুনা টেলিভিশন ভবনে শুভানুধ্যায়ীদের আগমণ শুরু হয় সেই সকাল থেকেই। সবার হাতে ফুল, আর যমুনার প্রতি এক বুক ভালোবাসা। তাদের শুভেচ্ছা শুভেচ্ছা গ্রহণ করছিলেন প্রধান বার্তা সম্পাদক ফাহিম আহমেদ। দিন বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা হতেই জন সমাগম বেড়ে যায়। যেন সাধারণ মানুষের ঢল। যমুনার প্রতি ভালোবাসার টানে ছুটে এসেছেন তাদের সবাই।

চূড়ান্ত উৎসবের আয়োজন ছিলো শপিং মলের বেজমেন্টে বিশাল কনফারেন্স হলে। যমুনার দর্শক-শুভানুধ্যায়ীদের মেলায় মধ্যমণি হয়ে হাজির হয়েছিলেন দেশের শীর্ষ রাজনীতিবদ, আমলা, বুদ্ধিজীবী, লেখ-সাহিত্যিক, বিনোদন জগতের তারকারা।

সন্ধ্যায়র আটটার দিকে ৪র্থ বর্ষপূর্তির কেক কাটার আগ মুহূর্তে যমুনার প্রতি ভালোবাসা আর ভালো লাগার অনুভূতি প্রকাশ করেন বিশিষ্ট অতিথিরা। শুরুতেই তাদেরকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন যমুনা টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক ফাহিম আহমেদ। তিনি বলেন, ‘মানুষের ভালোবাসাই আমাদের এই চার বছরের পথ চলার প্রাপ্তি। গ্রামেগঞ্জে চায়ের টেবিলে যমুনা টিভির সংবাদ যখন সাধারণ মানুষের আলোচনার বিষয়বস্তু হিসেবে পরিণত হয়, তখন আমাদের প্ররিশ্রমকে সার্থক মনে করি।’

যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুল বলেন, ‘অতীতের মতো ভবিষ্যতেও দেশ ও মানুষের হয়ে কথা বলে যাবে নির্ভয়ে। শুরুতেই আমাদের ওয়াদা ছিলো আমরা সত্যকে সত্য আর মিথ্যাকে মিথ্যা বলবো। যমুনা টেলিভিশন কথা রেখেছে। আমরা সত্য থেকে কখনো সরবো না।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যমুনা পরিবারকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, টিভি চ্যানেলটি আগামীতে আরও উন্নতি করবে এটিই তার কামনা।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ বলেন, সত্যকে সত্য বলা আর মিথ্যাকে মিথ্যা বলার যে সাহস যমুনা দেখিয়েছে তার প্রশংসা করি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ইতোমধ্যে যমুনা টিভি মানুষের হৃদয় জয় করেছে। আশা করবো আপনারা এটা ধরে রাখবেন।’ সুন্দরবনের দস্যুদেরকে আত্মসমর্পণে যমুনা টিভির অবদানের কথা স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, ‘একটা কথা স্বীকার করতেই হবে যে, যমুনা টিভি আমাদের অনেক বড় উপকার করেছে। দস্যুদেরকে আত্মসমর্পণে উদ্বুদ্ধ করতে গহীন বনে ঘুরে ঘুরে কাজ করেছেন যমুনার বিশেষ প্রতিনিধি মোহসীন-উল হাকিম।’

পক্ষপাত মুক্ত সংবাদ ও তথ্যভিত্তিক অনুষ্ঠানে বরাবরই এগিয়ে থাকার চেষ্টা ছিলো যমুনার। পঞ্চম বছরের এই শুভক্ষনে বিশিষ্ট রাজনীতিকদের ভালোবাসায় মুগ্ধ যমুনা টেলিভিশন। আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে আরও ছিলেন বানিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন, জাতীয় পার্টির কো চেয়ারম্যান জিএম কাদের, র‌্যাব মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর রাজনীতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, স্থানীয় সরকার বিশ্লেষক তোফায়েল আহমেদ, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন, ঢাকা-১ সংসদ সদস্য এডভোকেট সালমা ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

দুর্নীতির মুখোশ উন্মোচনে কখনো আপোশ করেনি যমুনা টেলিভিশন। জন্মদিনে দর্শক – সমালোচকদের ভালোবাসা সে পরীক্ষায় উতরে যাওয়ার সাহস যোগায়।


 

Exit mobile version