Site icon Jamuna Television

কারাগারের ডিভিশন বাতিল, কনডেম সেলে প্রদীপ ও লিয়াকত

ছবি: সংগৃহীত।

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত প্রদীপ ও লিয়াকতকে কারাগারের কনডেম সেলে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। সোমবার (৩১ জানুয়ারি) কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রায় শেষে তাদের কক্সবাজার জেলা কারাগারে নেয়ার পর কনডেম সেলে পাঠিয়ে দেয়া হয়। পাশাপাশি সিনহা হত্যা মামলার এই দুই আসামির ডিভিশনও বাতিল করা হয়েছে। কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার নেছার আলম জানিয়েছেন এই তথ্য।

নিয়ম অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত হলে মামলার রায় হওয়ার ৭দিনের মধ্যে সমস্ত নথি, কেস ডায়েরি ও স্বাক্ষী-প্রমাণাধীসহ কাগজপত্র হাইকোর্টে প্রেরণ করতে হয়। এরপর ‘লালসালু’ দিয়ে বিশেষ ধরনের প্যাকেট করে এসব কাগজপত্র হাইকোর্টে পাঠাতে হবে। নিয়মানুযায়ী মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলীর মামলার রায়ের কপিও সেভাবেই হাইকোর্টে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন কক্সবাজারের সিনিয়র আইনজীবী ও সিনহা হত্যা মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর।

এডভোকেট জাহাঙ্গীর বলেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ফাঁসির আদেশ হাইকোর্টকে অবহিত করতে হয়। হাইকোর্টকে অবহিত না করা পর্যন্ত কার্যকর হবে না। এছাড়াও আসামি পক্ষ আপিল করতে পারে। মামলায় সন্তুষ্ট না হলে উচ্চ আদালতে যাওয়ার এখতিয়ার সবার রয়েছে।

এদিকে, ৩১ জানুয়ারি সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামি টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বরখাস্ত পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে কক্সবাজার জেলা কারাগারে কনডেম সেলে রাখা হচ্ছে। খাবার থেকে শুরু করে সকল সুযোগ-সুবিধা জেল কোড অনুযায়ী হবে বলে জানিয়েছে কক্সবাজার জেল সুপার নেছার আলম। তিনি জানান, প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে জেল কোড অনুযায়ী প্রদীপ ও লিয়াকত কারাগারে ডিভিশন পেতেন। এই দুই জন হত্যা মামলায় দণ্ডিত হওয়ায় তাদের কারাগারের ডিভিশন বাতিল করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: সিনহা হত্যার রায়: ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতের ফাঁসির আদেশ

উল্লেখ্য, সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় প্রদীপ কুমার দাশ, লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ হয়।

সেই সাথে বরখাস্তকৃত এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাগর দেব ও রুবেল শর্মাসহ ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া অন্যরা হলেন নুরুল আমিন, মো. নিজাম উদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন। এই ৩ জনই টেকনাফ থানায় পুলিশের দায়ের করা মামলার সাক্ষী ছিলেন; তারা টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

আরও পড়ুন: যেমন হয় কনডেম সেল

সেই সাথে এপিবিএন এর এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল রাজিব ও মো. আবদুল্লাহ এবং পুলিশের এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আব্দুল্লাহ আল মামুনকে খালাস দেয়া হয়েছে। এই সাতজনকেও সিনহা হত্যার ঘটনার পর বাহিনী থেকে বরাখাস্ত করা হয়েছিল।

এসজেড/

Exit mobile version