Site icon Jamuna Television

নিজের শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবদল নেতা মিসকিন গ্রেফতার

যুবদল নেতা ইমাম হোসেন মিসকিন।

স্টাফ করেসপনডেন্ট, ফেনী:

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় নিজের ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমাম হোসেন মিসকিনকে (৪৫) গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি উপজেলার চর দরবেশ ইউনিয়নের চর সাহাভিকারি গ্রামের বাসিন্দা।

মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজবাড়ী সদর উপজেলা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার বেলা ১১টায় ফেনীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম জানান, মামলার পরপরই ইমামকে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় রাজবাড়ী থেকে গ্রেফতার করা হয়। গত ২৭ জানুয়ারি রাতে এ ধর্ষণের ঘটনায় ৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে সোনাগাজী মডেল থানায় ইমামের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এই মামলা করেন তার স্ত্রী। মামলায় ইমাম ছাড়াও তার মামা চর দরবেশ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালামকে আসামি করা হয়। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। আজাদ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান।

শিশুটির মায়ের অভিযোগ, ইমাম হোসেনের সঙ্গে ১৭ বছর আগে তার বিয়ে হয়। তাদের ঘরে দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। সন্তানদের নিয়ে তিনি বাবার বাড়িতে থাকেন। ২৭ জানুয়ারি রাতে তিনি রান্নাঘরে রুটি তৈরি করছিলেন। এ সময় তার আট বছর বয়সী মেয়েকে ধর্ষণ করে তার স্বামী। রান্নাঘর থেকে এসে বিছানার ওপর মেয়েকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় তড়িঘড়ি করে ইমাম হোসেন পালিয়ে যান।

ভুক্তভোগীর মা জানান, ঘটনাটি ২৮ জানুয়ারি ইমামের মামা আবুল কালাম আজাদকে জানান। কিন্তু ধর্ষণের বিষয়টি সমাধান না করে ৩০ জানুয়ারি আজাদের পরামর্শে দেনমোহরের ৭০ হাজার টাকা পরিশোধ করে তাকে তালাক দেন যুবদল নেতা ইমাম। তিনি আরও জানান, এর আগে আরও দুটি বিয়ে করেন ইমাম। ওই দুই সংসারে তিন ছেলে ও এক কন্যাসন্তান রয়েছে।

অভিযুক্ত ইমাম হোসেন মিসকিন স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। তবে নিজের শিশুকন্যাকে ধর্ষণের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। বিএনপি নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ তালাকের বিষয়টি স্বীকার করলেও তাকে ধর্ষণের বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ধর্ষণের বিষয়টি তাকে জানানো হলে তিনি বাদীকে থানার আশ্রয় নিতে বলতেন।

জেডআই/

Exit mobile version