Site icon Jamuna Television

হাওড়ায় মেয়ে সন্তান হওয়ায় রাগে আছাড় দিয়ে ১৪ মাসের শিশুকে খুন করলো বাবা

প্রতীকী ছবি

তিন বছরের দাম্পত্য জীবনে কোনও সুখ ছিল না। সাংসারিক অশান্তিতে কন্যা সন্তানকে আছাড় মেরে খুন করে ফেললো বাবা। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ায়।

ভারতীয় গণমাধ্যম জিনিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, হাওড়ার বাগনানের পূর্ব বাইনান মাইতি পাড়ায় বাবার বাড়ি তনুশ্রী পালের। বছর তিনেক আগে বিয়ে হয় তার। স্বামী প্রসেনজিৎ পাল। বিয়ের কয়েকদিন পর থেকেই শ্বশুরবাড়ি থেকে টাকা পয়সা দাবি করতে শুরু করেন প্রসেনজিৎ। নেশা করার জন্য স্ত্রীর গয়না বিক্রি করতেও পিছপা হতেন না তিনি। ফলে পরিবারে অশান্তি লেগেই থাকে।

বিয়ের পর তনুশ্রী যখন গর্ভবতী হন, তখন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা চেয়েছিলেন পুত্রসন্তান আসুক। কিন্তু তনুশ্রীর কোল আলো করে আসে মেয়ে। ফলে অশান্তি আরও বাড়ে। পরিস্থিতি এমনই জায়গায় পৌঁছায় যে, মেয়েকে নিয়ে মাঝেমধ্যেই বাপের বাড়ি চলে আসতেন তনুশ্রী।

তার দাবি, মেয়ের খাওয়ার দুধও ঠিকমতো কিনে দিতেন না স্বামী। এ ব্যপারে কিছু বলতে গেলেই মারধর করতেন। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। এলাকার লোকজন বিষয়টি মেটানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সমস্যা মেটেনি।

মেয়েকে নিয়ে বাগনানে বাপের বাড়িতেই ছিলেন তনুশ্রী। কিছুদিন আগে শ্বশুরবাড়ির এক আত্মীয় মারা যান। খবর পেয়ে সেখানে যান তিনি। সেখানেই গৃহবধূকে মারধর করেন শ্বশুরবাড়ি লোকেরা। স্ত্রীর কোল থেকে মেয়েকে কেড়ে নেন প্রসেনজিৎ। তারপর তুলে আছাড় মারেন মাটিতে। শিশুটিকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন ওই গৃহবধূ। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকেরা টাকা দিতে না চাওয়ায় পর্যাপ্ত চিকিৎসা করাতে পারেননি মেয়েকে।

মাঝেমধ্যেই জ্ঞান হারাত শিশুটি, আবার ফিরেও আসত। বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) রাতে জ্ঞান হারানোর পর ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়ে সে। পরে চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করে।

Exit mobile version