
চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদী পাড়ের শুঁটকি পল্লীর জৌলুস কমছে দিনদিন। ভরা মৌসুমেও নেই আগের মতো ব্যস্ততা, কমছে উৎপাদনও। অবাধে নিম্নমানের শুঁটকি আমদানি হওয়ায় দেশীয় উৎপাদকরা লোকসানের মুখে পড়েছেন। তার ওপর নানামুখী সংকটে বিপর্যস্ত এই খাত সংশ্লিষ্টরা। হতাশ হয়ে পেশা ছাড়ছেন অনেকেই।
কর্ণফুলী নদী পাড়ে ক্ষেতচর নামে এই এলাকাটি শুঁটকি পল্লী হিসেবে বেশি পরিচিত। এই পল্লীতে চাঙের সংখ্যা ১৩০টি থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১০০তে। দেশ ছাড়িয়ে দেশের বাইরেও চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের শুঁটকির বেশ কদর। কিন্তু অর্থ সংকটসহ নানা কারণে দিন দিন কমছে উৎপাদন।
যারা এখনো পূর্ব পুরুষের পেশা আঁকড়ে আছে অর্থকষ্টে ধুঁকছে তারাও। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা না পেলে টিকে থাকা কঠিন বলছেন তারা। কর্ণফুলী তীরের শুঁটকি পল্লীতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত প্রায় ১০ হাজার শ্রমিকের জীবন-জীবিকাও এখন শঙ্কায়। প্রতি বছর এ মৌসুমে শুঁটকি পল্লীতে অন্তত পাঁচ কোটি টাকার শুঁটকি প্রক্রিয়াজাত করা হলেও এবার কমেছে তাও।
এখানে উৎপাদিত শুঁটকির মূল ক্রেতা চট্টগ্রাম আসাদগঞ্জ শুঁটকি মার্কেটের আড়তদাররা। তাদের কাছেও প্রচুর বকেয়া। যদিও আড়তদারদের দাবি ভিন্ন। চট্টগ্রাম শুটকি উৎপাদন বিপণন সমবায় সমিতির সভাপতি আজগর হোসেন বলছেন, এরই মধ্যে ৩০টির বেশি সওদাগর চলে গেছে। আমরা প্রচুর লসের মধ্যে আছি, সরকারি সহযোগিতাও পাচ্ছি না। অন্যদিকে আসাদগঞ্জ শুঁটকি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবু নাছেরের মতে, এখন সবাই সবার সুখ-দুঃখ দেখে চলতে হবে। না হলে যে যার মতো করে চলছে ভবিষ্যতে শুঁটকি ব্যবসা ধ্বংস হয়ে যাবে বলেও মনে করেন তিনি।
এসজেড/



Leave a reply