Site icon Jamuna Television

‘মানুষ ভুল করলে তাকে চেপে ধরতে হবে কেন? সেভ করাই সাংবাদিকদের কাজ’

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টচার্যের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

শুক্রবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ঝিনাইদহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কেন্দ্রে কম্পিউটার অফিস অ্যাপলিকেশন বিষয়ে পরীক্ষা দেওয়ার সময় ৯ মিনিটের একটি লাইভ করেন কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন। এরপর ফেসবুকে লাইভটি মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায়। শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। এই সমালোচনার জের ধরেই মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে রাজনৈতিক মহল।

আলোচিত ফেসবুক লাইভে সুমনকে বলতে শোনা যায়, আমাদের পরীক্ষা চলছে, সবাই লিখছে, আমি বসে আছি। সবাই লিখছে বাংলায়, আমি তো বাংলায় লিখি না, ইংলিশে লিখি। অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল পরীক্ষার হলরুমে ফেসবুক লাইভ দেব। সেই ইচ্ছা আজ পূরণ হলো। ম্যাডামও দেখি আমার ভিডিও করছেন। আমরা ছাত্রলীগ, যেখানে যাবো সেখানেই বুলেট।

পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অ্যাকাডেমিক ইনচার্জ মাহাবুব উল ইসলাম জানান, পরীক্ষার হলে ফেসবুকে লাইভ দেওয়ার ঘটনায় শনিবার তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পরীক্ষার হলে কে কোনো সংগঠনের নেতা এটি আসল পরিচয় নয়। সবাই শিক্ষার্থী হিসেবে গণ্য হবে।

সদ্য বিলুপ্ত কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন সুমন জানান, পরীক্ষা কক্ষে ফেসবুক লাইভে এসেছিলাম, এটা আহামরি কিছু না। বিষয়টি খারাপ কিছু বলে আমি মনে করছি না। পরীক্ষা কক্ষে তখন আমাদের ম্যাডামরা ছিলেন। সে সময় আমি নিজের ফোন থেকেই ফেসবুকে লাইভ করি। তবে ছাত্রলীগের দায়িত্বশীল একটা পদে থেকে কাজটা করা উচিত হয়নি। কিন্তু মানুষ একটা ভুল করলে তাকে এতো চেপে ধরতে হবে কেন? তাকে সেভ করাই সংবাদ কর্মীদের কাজ। অথচ তারা সেভ না করে এটা প্রকাশ করে দিচ্ছে। বিষয়টা খুবই আশ্চর্যজনক।

তিনি আরও জানান, কালীগঞ্জ শহরের প্রিজম কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের শিক্ষার্থী তিনি। ওই সময় তিনি পরীক্ষা দিয়ে ভাইভার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। পরীক্ষার সময় লাইভ করেননি। ছোট একটি লাইভ করেছিলেন। এরপর সেটি ডিলিট করে দিয়েছেন।

এটিএম/

Exit mobile version