Site icon Jamuna Television

প্রেমে বাধা, কবরস্থানে গিয়ে প্রেমিক-প্রেমিকার একসঙ্গে বিষপানে আত্মহত্যা

পিরোজপুর প্রতিনিধি:

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় প্রেমে বাধা দেওয়ায় একসঙ্গে বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন প্রেমিক-প্রেমিকা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়নের উত্তর কলারদোয়ানিয়া গ্রামের চানদকাঠী এলাকায়।

শুক্রবার (২২ এপ্রিল) ভোররাতে তাদের মৃত্যু হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে প্রেমিকার বাড়ির সামনের কবরস্থানে বসে তারা বিষপান করে।

নিহত প্রেমিকা মোসা. মরিয়া খানম ওই গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের কন্যা। সে উপজেলার মুগারঝোর দাখিল মাদরাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী। আর প্রেমিক ইয়াছিন তালুকদার (১৮) জেলার নেছারবাদ উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের উলিবুনিয়া গ্রামের মো. হাফিজ তালুকদারের ছেলে। ইয়াছিন তার পিতার সাথে ধান-চালের ব্যবসা করতেন। নিহতরা সম্পর্কে একে অপরের আত্মীয়।

নিহত ইয়াছিনের পিতা জানান, তার পুত্র গত ৩-৪ দিন আগে তার ফুফা মোজাম্মেল হক হাওলাদারের বাড়িতে বেড়াতে যান। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফুফাতো ভাই ছাব্বিরের সাথে তার দোকানে ঘুমাতে যায়। কিন্তু গরমের কথা বলে সেখান থেকে বের হয়। রাত ৩টার দিকে ইয়াছিনের ফুফু ছাবিনা ইয়াছমিন ফোন করে জানান, ইয়াছিন ও বাড়ির পাশের এক মেয়ে এক সাথে বিষপান করেছে।

নিহত মারিয়া খানমের মা শামীমা নাছরিন জানান, তার কন্যা মারিয়া ওই রাতের খাবার খেয়ে ১০টার দিকে তার কক্ষে ঘুমাতে যায়। রাত ২টার দিকে বাড়ির সামনের কবরস্থান থেকে বাঁচাও বাঁচাও বলে ডাক চিৎকার পাই। পরে সেখানে গিয়ে কন্যা মারিয়া ও ইয়াছিনকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার অসিত মিস্ত্রী জানান, মারিয়াকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আর ওই দিন ভোররাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে বসে ইয়াছিনের মৃত্যু হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, প্রেমিকা মারিয়ার পিতা বাড়িতে থাকেন না। মা শামীমা নাছরিন মেয়ের প্রেমের বাধা হয়ে দাঁড়ান এবং বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে মেয়েকে গালমন্দ করেন। এর জের ধরে প্রেমিক-প্রেমিকা একসঙ্গে আত্মহত্যা করে।

নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, প্রেমিক-প্রেমিকা একইসঙ্গে বাড়ির সামনের কবরস্থানে গিয়ে বিষপান করে আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যার কারণ নিয়ে নিহতদের পরিবারের কেউ মুখ খুলছেন না। তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

জেডআই/

Exit mobile version