Site icon Jamuna Television

কিশোরীকে ৫ দিন ধরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ; ১ নারী সহযোগী গ্রেফতার

প্রতীকী ছবি।

স্টাফ করেসপনডেন্ট, রংপুর:

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর ঘটনা ধামাচাপা দিতে সহযোগিতার চেষ্টা করা একজন মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার নাম তারজিয়া ওরফে সায়তারা বেগম। বুধবার (১১ মে) সন্ধ্যায় তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ থানার ওসি রাজিব কুমার জানান, কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় তার পিতা বাদী হয়ে চারজনকে অভিযুক্ত করে একটি অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা করেন। ওই মামলার প্রেক্ষিতে ৪ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি তারজিয়া ওরফে সায়তারা বেগমকে কিশোরগঞ্জের কালিকাপুর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। তারজিয়ার স্বামী রশিদুলও এই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।

ভুক্তভোগী ওই কিশোরী যমুনা টেলিভিশনকে বলেন, গত ২৩ এপ্রিল আমার বাড়ির পার্শ্ববতী উত্তরপাড়ায় খালাবাড়িতে ইফতার দিতে যাই। সেখান থেকে ইফতার শেষে আমি আমার দুই খালাতো ভাইয়ের সাথে নিজের বাড়ির দিকে রওয়ানা হই। পথিমধ্যে একটি দোকানের সামনে থাকা স্থানীয় তিন যুবক জীবন, মানিক ও রশিদুল আমার পথ রোধ করে। সেখান থেকে তারা আমাকে কিডন্যাপ করে পাঁচদিন ধরে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে।

ভুক্তভোগী ওই কিশোরী আরও জানান, ৫ দিন পর এক অপরিচতিত লোকের কাছে তাকে টাকার বিনিময়ে জিম্মায় দেয়া হলেও কৌশলে পালিয়ে আসেন তিনি। পথিমধ্যে একজনের সাথে দেখা হলে তিনি তারজিয়া বেগমের সাথে কথা বলিয়ে দেন। কিন্তু তারজিয়া বেগম তাকে সাহায্য করা তো দূরের কথা; উল্টো ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করেন।

জেডআই/

Exit mobile version