Site icon Jamuna Television

নিলামে অবিক্রিত সেই পাতিদারই বাঁচিয়ে রাখলেন বেঙ্গালুরুর আশা, কোহলি-শাস্ত্রীর বন্দনা

ছবি: সংগৃহীত

আইপিএলের এবারের নিলামে অবিক্রিত ছিলেন রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর টপ অর্ডার ব্যাটার রজত পাতিদার। দল যখন ইনজুরি সমস্যায় জর্জরিত তখন বদলি খেলোয়াড় হিসাবে জায়গা পেয়েছেন দলে। সেই পাতিদারই প্লে অফ ম্যাচে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে খেললেন ৫৪ বলে ১১২ রানের ঝলমলে ইনিংস। আর তাতে ফাইনালের পথে এক পা দিয়ে রেখেছে বেঙ্গালুরু। এমন পাওয়ার হিটিংয়ের পর তাই পাতিদারের বন্দনা ভিরাট কোহলি ও সাবেক ভারতীয় কোচ রবি শাস্ত্রীর কণ্ঠে।

লখনৌয়ের বিরুদ্ধে প্রথম ওভারে কোনো রান যোগ না করেই ফিরে গেছেন বেঙ্গালুরু অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি। ফলে ভিরাটের সঙ্গী হতে হয় ইনজুরিতে বদলি হিসাবে দলে জায়গা পাওয়া রজত পাতিদারের। প্লে অফ ম্যাচ, ফলে ভুল করে ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। তাইতো ভিরাটের ব্যাট ছিল সাবধানী। কিন্তু অপর পাশ থেকে বয়ে যায় চার-ছক্কার ঝড়। এমন ইনিংস তাইতো বিস্ময় এনে দিয়েছে ভিরাটের কণ্ঠে।

পাতিদারকে নিয়ে কোহলি বলেন, নিজের ওপর বিশ্বাস থাকলে মানুষ যে সব করতে পারে, তারই প্রমাণ দিয়েছে পাতিদার। আমি নিজেই খুব দুশ্চিন্তায় ছিলাম। কারণ এমন অনেক ম্যাচেই জয় নিয়ে ফিরতে পারিনি। পাতিদারের ইনিংসটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

পাতিদারের এমন পাওয়ার ইনিংস খেলার সামর্থ্যে অবাক সাবেক ভারতীয় কোচ রবি শাস্ত্রীও। বলেন, আমার একবারের জন্যও মনে হয়নি পাতিদার কোনো বদলি ক্রিকেটার। মনে হয়েছে সে ১০ বছর ধরে আইপিএলে খেলছে।

গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসের গোপন রহস্যটা নিজেই জানান পাতিদার। বলেন, আমি আসলে চাপ নিইনি। ডট বল খেলার পরও আমি জানতাম আমার কী করতে হবে। নিলামে বিক্রি না হওয়ার পরও হাল ছাড়িনি। আমি আমার অনুশীলন চালিয়ে গিয়েছিলাম। পরিশ্রম করছি, তার ফলই পাচ্ছি।

জেডআই/

Exit mobile version