Site icon Jamuna Television

ওয়ানডেতে এসে জয়ের দেখা পেল টাইগাররা

ছবি: সংগৃহীত

উইন্ডিজ সফরে প্রথম স্বস্তির জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে বিবর্ণ পারফরম্যান্সের পর ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই ছন্দে ফিরলো টাইগাররা। জয় তুলে নিয়েছে ৬ উইকেটের ব্যবধানে।

১৫০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৫৫ বল বাকি থাকতেই তা তুলে নেয় তামিম ইকবালরা। দ্রুতই ওপেনার লিটন দাসকে হারালেও অপর প্রান্তে তামিম ছিলেন সাবলীল। নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে ৫ ওভারে গড়েন ৪০ রানের জুটি। ২৫ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলে তামিম রান আউটের ফেরে পড়লে মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে জুটি গড়েন শান্ত। এরপর শান্ত এবং আফিফ দ্রুতই ফিরে সোহানের সাথে ৪০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ম্যাচ শেষ করেন রিয়াদ।

এর আগে বৃষ্টির কারণে বিলম্বে শুরু হওয়া ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নামা উইন্ডিজ শুরু থেকেই টাইগারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে চাপে পড়ে যায়। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৪১ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ ১৪৯ রান। জয়ের জন্য বাংলাদেশের করতে হবে ১৫০ রা

বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে টস অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রায় দুই ঘণ্টা পরে। তাই ম্যাচটি ৪১ ওভারে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়ে দেন আম্পায়াররা। ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিকদের শুরুটা ভালো হতে দেননি কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার সাই হোপকে ফেরান তিনি। আউট হওয়ার পূর্বে কোনো রান তুলতে পারেননি হোপ। আরেক ওপেনার কাইল মেয়ার্সকে ১০ রানে ফেরান মেহেদি হাসান মিরাজ।

তৃতীয় উইকেটে ম্যাচের হাল ধরার চেষ্টা চালান ব্রেন্ডন কিং ও শামারাহ ব্রকস। কিন্তু জুটিতে বেশি রান তুলতে পারেননি তারা। ইনিংসের ২১তম ওভারে পরপর দুই বলে এই দুই ব্যাটারকে ফেরান বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। ব্রকস ৩৭ ও কিং ৮ রান করেন।

৩১ ওভারে ৯৭ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে উইন্ডিজ। এমন বিপর্যয়ে দলের হাল ধরতে চেষ্টা করেন রোমারিয় শেফার্ড ও গুডাকেশ মতি। কিন্তু ব্যর্থ হন তারা সেই মিরাজ ও শরিফুলের কারণে। ৩৪তম ওভারে ফের দুটি উইকেট তুলে নেন শরিফুল। প্রথম বলে আফিফের হাতে শেফার্ড আর ৪র্থ বলে মিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মতি। শেফার্ড ১৮ বলে ১৬ রান করেন আর মতি ১১ বলে ৭ রান। শেষ দিকে ফিলিপের ২২ বলে ২১ ও সিলিসের ২৩ বলে ১৬ রানের সুবাদে ১৪৯ রান পর্যন্ত যেতে পারে ক্যারিবিয়রা।

বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল শরিফুল। ৮ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। ৩৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। আর একটি উইকেট শিকার মোস্তাফিজুর রহমানের। অভিষিক্ত নাসুম আহমেদ উইকেট না পেলেও ৮ ওভারে মাত্র ১৬ রান খরচ করেছেন। তাসকিন সমান ওভারে দিয়েছেন ২৫ রান। প্রতিপক্ষের সেরা তিন ব্যাটসম্যানকে থামিয়ে দেয়ায় ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন মিরাজ।

Exit mobile version