Site icon Jamuna Television

বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাসার সামনে কলেজছাত্রী, মামলা গ্রহণের আশ্বাসে থানায় নিলো পুলিশ

স্টাফ করেসপনডেন্ট, রংপুর:

রংপুরের হারাগাছ পৌরসভার মিয়াপাড়া এলাকায় শনিবার (৩০ জুলাই) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেন একাদশ শ্রেণি পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী। অবস্থান নেয়ার প্রায় চার ঘণ্টা পর রাত সাড়ে আটটায় ওই শিক্ষার্থীকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

শনিবার সাড়ে এগারোটার দিকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের হারাগাছা থানার ওসি রেজাউল করিম জানিয়েছেন, পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের মিয়া পাড়ায় শারাফাত হোসেন সোহাগের (২৩) বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেয় পাশের বাড়ির একাদশ শ্রেণি পড়ুূয়া এক শিক্ষার্থী। সোহাগ ওই এলাকার বস্তা ব্যবসায়ী মোশাররফ হোসেনের পুত্র। আমরা ৯৯৯-এ খবর পেয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। এখন এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। আমরা মামলা রুজুর করার পর তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

অবস্থান নেয়া ওই শিক্ষার্থী জানান, সোহাগ হারাগাছ সরকারি কলেজের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র। সে ওই কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি। দুই বছর থেকে সোহাগের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক। এরই মধ্যে রংপুর মহানগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেলসহ বিভিন্ন স্থানে গিয়ে একাধিকবার আমরা স্বামী-স্ত্রীর মতো মেলামেশা করেছি।

কলেজছাত্রী আরও বলেন, কিছুদিন আগে আমি সোহাগকে বিয়ের কথা বললে সে একটু সময় চায়। কিন্তু শনিবার বিকেলে আমি জানতে পারি সোহাগ কাউনিয়ার মীরবাগ এলাকায় কয়েকদিন আগে গোপনে বিয়ে করেছে। তখন আমি বিকেল ৪টায় তার বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেই। আমি যাওয়া মাত্রই সোহাগ পালিয়ে যায়। সোহাগের পরিবার আমার সাথে খারাপ আচরণ করে। এক পর্যায়ে তারা পুলিশকে ফোন দেয়। পুলিশ এসে আমাকে রাত সাড়ে আটটায় তাদের ভ্যানে করে থানায় নিয়ে যায়।

ওই শিক্ষার্থী জানান, আমার বাবা একজন প্যারালাইজড রোগী। আমার আর কোনো উপায় নেই। সোহাগকে ছাড়া আমি আর কাউকে বিয়ে করতে পারবো না। কিন্তু এরই মধ্যে সে গোপনে বিয়ে করেছে। আমাকে আর বিয়ে করবে না। এখন এই মুখ আমি কোথায় দেখাই। পরিবার ও সমাজ কেউ আমাকে ভালো চোখে দেখছে না। স্থানীয় দলীয় নেতারাও সোহাগের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। বাধ্য হয়ে আমি ধর্ষণ মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

জেডআই/

Exit mobile version