Site icon Jamuna Television

রহস্যজনকভাবে পৃথিবীতে দিনের দৈর্ঘ্য বাড়ছে, বদলে যেতে পারে সময়ের হিসেব!

ছবি: সংগৃহীত।

পৃথিবীতে দিনের পরিধি বাড়ছে। অর্থাৎ পৃথিবীতে ধীরে ধীরে রাত আর দিনের মধ্যে সময়ের পার্থক্য বাড়ছে। রাতের চেয়ে দিন বড় হচ্ছে। অথচ হওয়ার কথা ছিল এর উল্টোটা। তবে এর কোনো কারণ এখনও খুঁজে পাননি বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞান ভিত্তিক ম্যাগাজিন সায়েন্স অ্যালার্টের একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

মূলত, গত কয়েক শতাব্দী ধরেই নিজ অক্ষে পৃথিবীর ঘূর্ণনগতি বাড়ছে। সেই হিসেবে যত দিন যাবে, পৃথিবীতে দিনের আকার ততো ছোট হতে থাকবে। তেমনটিই হয়ে আসছিল এতো বছর ধরে। কিন্তু ২০২০ সাল থেকেই এই নিয়মের পরিবর্তনটা চোখে পড়ে বিজ্ঞানীদের। পৃথিবীর ঘূর্ণন বেগ ধীরে ধীরে কম হয়ে আসছে। তবে এর সঠিক কারণ এখনও খুঁজে পাননি বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, হঠাৎ এমন পরিবর্তনের প্রভাব পড়বে মানবজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই। কারণ দিনের আকার বড় হলে সময়ের হিসেব এমনকি জিপিএস সিস্টেমও পরিবর্তিত হবে। তবে এমনটি হওয়ার পেছনে কয়েকটি কারণ আন্দাজ করেছেন গবেষকরা। তারা বলছেন, পৃথিবীর ঘূর্ণন গতি কমার পেছনে কারণ হতে পারে ঘর্ষণ। বহু বছর ধরে নিজ অক্ষে ঘুরতে ঘুরতে এক সময় ঘর্ষণের ফলে গতি কমে আসে পৃথিবীর। এর ফলে পৃথিবীতে দিনের আকার প্রতি শতাব্দীতে ২.৩ মিলিসেকেন্ড বাড়বে। কিন্তু এখন এই প্রক্রিয়া বেশ দ্রুত হচ্ছে। তবে ঘর্ষণের কারণেই বর্তমানে পৃথিবীর গতি কমছে কিনা তা নিশ্চিত নন বিজ্ঞানীরা।

এছাড়া ভয়াবহ দূষণ, গ্রিনহাউজ গ্যাস বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলেও এমনটি হতে পারে। কিন্তু এটি পৃথিবীর গতি কমিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন পৃথিবীতে দিনের আকার বাড়ানোর মতো কোনো বড় প্রভাব ফেলতে পারেনি। তাহলে কেনো হঠাৎ এমনটি শুরু হলো তা খতিয়ে দেখছেন তারা।

দিনের আকার বড় হওয়ার কারণে সময়ের হিসেবে যাতে কোনো ঝামেলা না হয় সে জন্য অনেকেই ‘নেগেটিভ লিপ সেকেন্ড’ প্রক্রিয়া ব্যবহারের কথা বলেছেন। এই প্রক্রিয়া অনুযায়ী, সময়ের একক থেকে সেকেন্ডকে সরিয়ে দিতে হয়। ফলে শুধুমাত্র ঘণ্টা আর মিনিটের হিসেবেই চলবে ঘড়ি। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ প্রস্তাবটি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করেননি বিজ্ঞানীরা।

এসজেড/

Exit mobile version