Site icon Jamuna Television

লোডশেডিংয়ে বিদ্যুতের ব্যবহার কমেছে কুড়িগ্রামে, তবে বিল আসছে আগের দ্বিগুণ

কুড়িগ্রাম শহরের পুরাতন হাসপাতাল মোড় এলাকায় একটি চায়ের দোকান দিয়েই সংসার চলে শারাফাত আলীর। দোকানে একটি ছোট ফ্যান এবং তিনটি এলইডি বাল্ব জ্বালিয়ে মাসপ্রতি ৩ থেকে সাড়ে তিনশ টাকা বিদ্যুৎ বিল দেন তিনি। ইদানিং লোডশেডিংয়ের কারণে কমেছে ব্যবহার অথচ জুলাই মাসে বিল এসেছে দ্বিগুণ। শুধু শারাফত নন, এই বিড়ম্বনায় অনেক গ্রাহক।

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে নাকাল কুড়িগ্রামবাসীর নতুন বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিল! টানা লোডশেডিংয়ের মধ্যে অস্বাভাবিক বিলে জনজীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠছে। গ্রাহকদের অভিযোগ, মিটার না দেখেই প্রতিমাসে মনগড়া বিল লিখে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেন মিটার রিডাররা।

একদিকে লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজার অন্যদিকে বিদ্যুত বিলের বোঝা। বাধ্য হয়ে অনেকে সংযোগ বিচ্ছিন্নের উদ্যোগ নিয়েছেন। তবে এ নিয়ে কথা বলতে রাজি না বিদ্যুৎ বিভাগের কোনো কর্তা। বিতরণ সংস্থা নেসকো লিমিটেডের আঞ্চলিক প্রধান প্রকৌশলী শাহাদৎ হোসেন সরকার বলছেন, কেউ মৌখিক বা লিখিত অভিযোগ দিলে ভুতুড়ে বিলের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

জেলায় নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড-নেসকোর আওতায় রয়েছে প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহক।

/এডব্লিউ

Exit mobile version