Site icon Jamuna Television

ফার্মে হাঁস-মুরগি ও গরু-ছাগল পালন বন্ধে সুইজারল্যান্ডে গণভোট

প্রতীকী ছবি।

ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে সব দেশেই রীতিমতো বিশাল শিল্প কারখানা বানিয়ে পশু-পাখি পালন করা হচ্ছে। বড় পরিসরে এক জায়গায় রাখা হচ্ছে বিপুল সংখ্যক হাঁস-মুরগি ও গরু-ছাগল। এ ধরনের ফ্যাক্টরি ফার্মিং বন্ধে লড়ছে প্রাণীর অধিকার নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠন। বিশ্বের অন্যতম কঠোর প্রাণী সুরক্ষা আইন সুইজারল্যান্ডে। সে আইন আরও কঠোর করতে সুইজারল্যান্ডে হচ্ছে গণভোট। উদ্দেশ্য, সাংবিধানিকভাবে প্রাণীর অধিকার রক্ষা করা।

সুইজারল্যান্ডে একটি খামারে প্রকারভেদে একসাথে ১৮ থেকে ২৭ হাজার মুরগি পালন করা যায়। এছাড়া, বিপুল সংখ্যক গরু-শুকরও একসাথে পালন করা হয়। প্রাণীর অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলোর দাবি, এতে সঠিক পরিচর্যা করা হয় না প্রাণীগুলোর।

গ্রিনপিস বিশেষজ্ঞ আলেক্সজেন্দ্রা গ্যাভিল্যানো, বর্তমান চাষ পদ্ধতিতে ৯০ শতাংশেরও বেশি মুরগি সূর্যের আলো দেখার সুযোগ পায় না। এছাড়া, ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ শুকরকে দিনের আলো না দেখিয়েই জবাই করা হয়। সুইজারল্যান্ডে অবশ্য কঠোর প্রাণী সুরক্ষা আইন রয়েছে। কিন্তু প্রাণীর অধিকার রক্ষায় আমাদের আরও ভালো পদক্ষেপ নেয়ার সুযোগ রয়েছে।

দেশটির আইন অনুযায়ী, কোনো প্রস্তাবে ১ লাখ মানুষ সই দিলেই এর ওপর গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। সাম্প্রতিক এক জরিপে ৪৭ শতাংশ মানুষ ফ্যাক্টরি ফার্মিং নিষিদ্ধের পক্ষ মত দিয়েছেন।

কঠোর আইন কার্যকর হলে খামারে উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাবে পশুপাখির সংখ্যা, বাড়বে খামারিদের খরচ। আর তাতে বাড়বে বিভিন্ন পণ্যের দাম। তাই, এর বিপক্ষে অবস্থান দেশটির সরকারের। গণভোটের এ আয়োজনকে অনর্থক বলছেন অনেক খামার মালিক।

ড্যানিয়েল ওয়েরগ্লের নামে এক খামার মালিক বলেছেন, বিষয়টি খামার বড় নাকি ছোটো তার ওপর নির্ভর করে না। বরং এটা নির্ভর করে খামার মালিকের মানসিকতার ওপর। আমার কাছে দুই হাজার মুরগি থাকলেও আমি একজন খারাপ খামারি হতে পারি আবার ১৮ হাজার মুরগি থাকলেও একজন ভালো খামারি হওয়া যায়।

অধিকারকর্মীদের দাবি, সুইজারল্যান্ডে প্রাণী সুরক্ষায় এ কঠোর আইন বাস্তবায়ন হলে তা অন্য দেশের জন্য উদাহরণ তৈরি করবে।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।

জেডআই/

Exit mobile version