Site icon Jamuna Television

পুতিনের পরমাণু হামলার হুমকিকে গুরুত্বের সাথে নিচ্ছে ওয়াশিংটন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের রাশিয়া বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি লরা কুপার।

আঞ্চলিক প্রভাব বাড়াতে এবং ইউক্রেনকে সহায়তাকারী পশ্চিমা দেশগুলোকে চাপে ফেলতেই পরমাণু হামলার হুমকি দিচ্ছে রাশিয়া- এমন দাবি করে, যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, মস্কোর তরফ থেকে পরমাণু হামলার কোনো ঝুঁকি নেই। তবে, ঝুঁকি না থাকলেও রুশ প্রেসিডেন্টের হামলার হুঁশিয়ারিকে গুরুত্বের সাথে নিয়েছে ওয়াশিংটন। এদিকে, দ্রুত জাপোরিঝিয়া পরমাণু কেন্দ্র চালু না হলে বড় ধরনের বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছে কিয়েভ। খবর রয়টার্সের।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পরমাণু হামলার হুমকির পর থেকেই রুশ-ইউক্রেন ইস্যুতে উত্তেজনার পারদ ঊধ্বমুখী। হামলার শঙ্কায় উদ্বেগ-উত্তেজনা বাড়ছে ইউরোপে। এরই মধ্যে রাশিয়ার নিন্দা ও সমালোচনায় মুখর বিভিন্ন দেশ এবং সংস্থা। তবে ওয়াশিংটন বলছে, আঞ্চলিক প্রভাব বাড়াতেই এতো বাগাড়ম্বর মস্কোর।

এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের রাশিয়া বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি লরা কুপার বলেন, পরমাণু হামলার মতো হুমকিকে সবসময়ই গুরুত্বের সাথে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এবারও তার কোনো ব্যতিক্রম নেই। তবে আমাদের গোয়েন্দা সূত্র বলছে, সত্যিকার অর্থে পরমাণু হামলা চালাবে না রাশিয়া। ইউক্রেনসহ আঞ্চলিক দেশগুলোকে চাপে রাখতে চায় মস্কো। তবে, আমরা ইউক্রেন ইস্যুতে পিছিয়ে যাবো না। কিয়েভকে সহায়তা অব্যাহত রাখবো। এ সময়, ইউক্রেনকে নতুন করে আরও ৬২৫ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

তবে রাশিয়ার হুঁশিয়ারিকে একেবারেই হালকাভাবে নিতে রাজি নয় ইউক্রেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় পরমাণু সংস্থার প্রধান বলেছেন, দ্রুত জাপোরিঝিয়া পরমাণু কেন্দ্র চালু না করলে বিকিরণ ছড়ানোর শঙ্কাও রয়েছে।

ইউক্রেনের পরমাণু সংস্থা এনার্গোটোমের প্রেসিডেন্ট পেত্রো কোতিন বলেন, আসন্ন শীত আমাদের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ, জাপোরিঝিয়া প্ল্যান্টের এমন কিছু যন্ত্র রয়েছে যেগুলো তীব্র শীতে অকেজো হয়ে যেতে পারে। এটা হলে, বিভিন্ন রিঅ্যাক্টর অকার্যকর হয়ে পড়বে। ফলে শঙ্কা রয়েছে বিকিরণ ছড়ানোর। তাই দ্রুত পরমাণু কেন্দ্রটি ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে দিয়ে সেটি চালুর দাবি কিয়েভের।

প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে বিশ্বে যতো পরমাণু অস্ত্র রয়েছে তার ৯০ শতাংশই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ায়। এর মধ্যে দেড় হাজারের বেশি পরমাণু বোমা রাশিয়ার ভাণ্ডারে।

/এসএইচ

Exit mobile version