Site icon Jamuna Television

চিকিৎসা দিচ্ছিলেন অ্যাম্বুলেন্স চালক, খবরে দেখে গ্রেফতারের নির্দেশ দিলেন আদালত

সিনিয়র করেসপনডেন্ট, নাটোর:

নাটোরের লালপুরে এক রোগীকে চিকিৎসা দেয়ায় অ্যাম্বুলেন্স চালক আমজাদ হোসেনের অপরাধ আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। শনিবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় স্বপ্রণোদিত হয়ে এই পরোয়ানা জারি করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সাঈদ।

আদালতের আদেশের বরাত দিয়ে ঐ আদালতের স্টেনোগ্রাফার মো. শহিদুজ্জামান বলেন, গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে চিকিৎসকের পরিবর্তে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছিলেন অ্যাম্বুলেন্সচালক আমজাদ হোসেন। মুহূর্তেই সেই ছবি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ছবিতে দেখা যায়, ব্যক্তিমালিকানাধীন অ্যাম্বুলেন্স চালক আমজাদ হোসেন স্টেথোস্কোপ লাগিয়ে জরুরি বিভাগে রোগী দেখছেন।

বিষয়টি নিয়ে যমুনা অনলাইনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আসে। আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আমজাদের চিকিৎসা দেয়ার সত্যতা পান। বিষয়টি বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন অনুযায়ী ফৌজদারী অপরাধ বলে উল্লেখ করেন আদালত।

শনিবার সন্ধ্যায় আসামির বিরুদ্ধে স্বপ্রণোদিত হয়ে অপরাধ আমলে নিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পাশাপাশি আগামী ১৯ অক্টোবর আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিলের প্রতিবেদন দিতে পুলিশকে নির্দেশ দেন আদালত।

লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. সুরুজ্জামান বলেন, গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে আমজাদ একজন রোগী নিয়ে আসেন। এসময় জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. জামিলা আক্তার এবং তার সহকারী ইয়াসমিন অন্য রোগী নিয়ে ব্যস্ত থাকার সুযোগে আমজাদ ঐ রোগীর ব্লাডপ্রেশার পরীক্ষা করেন। এতে করে আমজাদ নিজেও বিপদে পড়েছেন, হাসপাতালের সম্মানও নষ্ট করেছেন। তবে আদালতের কোনো আদেশের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।

লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনোয়ারুজ্জামান জানান, আদালতের নির্দেশ পেয়েছেন তারা। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে তাদের।

/এডব্লিউ

Exit mobile version