Site icon Jamuna Television

জলবায়ু সম্মেলন: উন্নত দেশগুলোকে দায়িত্বশীল আচরণের তাগিদ তরুণদের

আহমেদ রেজা, মিশর:

মিশরে চলমান আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলনের ভেতরে যখন রাষ্ট্রপ্রধান ও বিশেষজ্ঞরা জলবায়ু পরিবর্তনের নানা ইস্যুতে কৌশল ও বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করছেন, তখন বাহিরে নিরাপদ ও বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করছে তরুণরা। উন্নত দেশগুলোর দায়িত্বশীল আচরণ ও নতুন নেতৃত্বকে প্রাধান্য দিয়ে জলবায়ু সংকটের টেকসই সমাধান বলে সম্ভব বলে মনে করেন বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসা এসব তরুণ।

স্বস্তির পৃথিবী গড়তে চলমান আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলনে এমন দাবি জানান তারা। এর আগে, গ্লাসগোর সম্মেলন কাপানো তরুণদের অন্যতম প্রতিনিধি গ্রেটা থুনবার্গ অনেকটা অভিমান করেই এবারের সম্মেলনে আসেননি। যদিও হাল ছাড়েননি অন্য তরুণরা। তারা এখনও বিশ্বাস করেন, তরুণদের হাত ধরেই ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য আসবে কার্যকরী উদ্যোগ।

যেমন, পাকিস্তানের আনা বলছিলেন নিজ দেশের ভয়াবহ বন্যার কথা। ভুলেননি বাংলাদেশ ও ভারতসহ পৃথিবীর অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর কথা বলতেও। ভারতীয় তরুণ হেমা ও আখিলেশও বলছিলেন, পরিবেশ-প্রতিবেশ ঠিক রেখে কীভাবে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখা যায়। সরকারের প্রতি বার্তা দেন, এমন উদ্যোগে তরুণদের কাজে লাগাতে।

ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় থাকা বাংলাদেশের তরুণরাও বলছিলেন, সবচেয়ে কম কার্বন নিঃসরণ করেও কেন এই দেশের মানুষের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়বে? কেবল জবাব নয়, ক্ষতিপূরণও দিতে হবে দায়ী দেশগুলোকে।

দক্ষিণ এশিয়ার আরেক ছোট দেশ নেপালের এক তরুণী নিজেদের বিপন্নতার কথা জানান। আর আফ্রিকার দেশ কেনিয়ার কথা তো বলাই বলাই বাহুল্য, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশটি যে পরিমাণ বিপর্যস্ত, সে কথাও চলে এসেছে এবারের জলবায়ু সম্মেলনে তরুণদের কন্ঠে।

উন্নত দেশগুলোর প্রতিনিধিরাও পিছিয়ে নেই। যেমন, বৃটেনের তরুণী ফিবিও মনে করছেন, অনেক দেশের দায়িত্বে অবহেলার কারণে কীভাবে ঝুঁকির মুখে পরছে অনুন্নত দেশের লোকজন।

এসব তরুণদের আন্দোলন যে ব্যর্থ হয় না, তার প্রমাণ এবারের সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচ্য সূচিতে যুক্ত হয়েছেন তারা।

/এমএন

Exit mobile version