কক্সবাজার প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের মহেশখালীর চাঞ্চল্যকর খাইরুল আমিন সিকদার (২৮) হত্যর ৩২ বছর পর মামলায় ৬ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মহেশখালীর সাবেক মেয়র সরওয়ার আজম, তার দুই ভাই উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মৌলভি জহির উদ্দিন ও নাসির উদ্দিন, ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান শামসুল আলম, এডভোকেট হামিদুল হক এবং সাধন নামে এক যুবক। রায় ঘোষণার সময় সাধন ছাড়া বাকি ৫ জন উপস্থিত ছিলেন।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) সুলতানুল আলম জানান, রায়ে ২৬ আসামির মধ্যে ৬ জনকে যাবজ্জীবন ও বাকি ২০ জনকে খালাস প্রদান করা হয়েছে। এ মামলা চলার সময়ে সাতজন আসামি মারা গেছেন। মামলার দুই আসামি জহির উদ্দিন ও মো. ইব্রাহিম হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আদালতের পর্যাবেক্ষণের বরাতে এপিপি বলেন, আদালত মনে করছেন এটি একটি রাজনৈতিক বিরোধে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ড। যা আদালতে সন্দেহাতিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৯৯০ সালের ৯ এপ্রিল বিকেল পাঁচটার দিকে মহেশখালীর গোরকঘাটা বাজারে দুর্বৃত্তদের গুলিতে খুন হন তৎকালীন জেলা পরিষদ সদস্য ও তরুণ রাজনীতিক খাইরুল আমিন সিকদার (২৮)। তিনি গোরকঘাটার হামজা মিয়া সিকদারের ছেলে। ওই দিন নিহত খাইরুল আমিনের বড় ভাই মাহমুদুল করিম বাদী হয়ে মহেশখালী থানায় মহেশখালী উপজেলার তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান নুর বক্স, পুটিবিলার শামশুল আলম, নাসির উদ্দিন, হামিদুল হকসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ঘটনার তদন্ত করে এজাহারভুক্ত ২৫ জনসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন ওই বছরের ২২ নভেম্বর। ২০০৩ সালের ২৭ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
এসজেড/

