Site icon Jamuna Television

‘লেবুর দাম কীভাবে ২৫ টাকা হয়’; নিত্যপণ্যের বাজারে তদারকি জোরদারের দাবি

অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার। দাম বৃদ্ধির তালিকায় সবচেয়ে এগিয়ে মুরগির মাংস। বেড়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। স্বস্তি নেই সবজির দামেও। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে করলা, ঢেঁড়শ, পটল। মান ভেদে লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। রমজান ঘিরে দাম বেড়েছে, ছোলা, ডাল, চিনির দাম। বাজার তদারকি জোরদারের দাবি জানিয়েছেন, ক্রেতারা। একজনের প্রশ্ন, একটা লেবুর দাম কীভাবে ২৫ টাকা হয়!

গেলো বছরের শেষ দিকে অস্থির ছিল ডিম ও পোলট্রির বাজার। সরকারি সংস্থার তদারকি আর অভিযানে কিছুটা স্বস্তি আসলেও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে আবারও নৈরাজ্য শুরু হয়েছে ডিম ও মুরগির মাংসের বাজারে। তবে বাজারে চলছে দুর্বল তদারকি। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায়। লেয়ারের জন্যে গুনতে হচ্ছে ৩০০ টাকা আর সোনালি মুরগির জন্য ৩৪০ টাকা। ১০ টাকা বেড়ে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। স্বস্তি নেই গরু ও খাসির মাংসের বাজারেও। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা আর, খাসির মাংসের জন্য গুনতে হবে এক হাজার ৫০ টাকা।

ক্রেতারা বলেন, গরুর মাংসের যে দাম, তাতে মুরগির দিয়েই এই চাহিদা পূরণ করতে হবে। কিন্তু এবার মুরগির দামও এত বেশি যে, সেটাও চলে যাচ্ছে নাগালের বাইরে। আরেকজন ক্রেতা জানান, গত সপ্তাহেই গরুর মাংস যে দামে কিনেছেন, এখন গুনতে হচ্ছে তার চেয়েও ৪০ টাকা বেশি। ব্রয়লার মুরগির দামও অতিরিক্ত। তাছাড়া, প্রতিটি জিনিসের দামই ২-৩ দিন পরপর ১০ টাকা করে বাড়ছে। এসব নিয়ে তদন্ত দরকার।

সরবরাহের সংকট না থাকলেও গ্রীষ্মকালীন সবজির বাজার বেশ চড়া। পটল ও ঢেঁড়শ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। চিচিঙ্গা ৬০ বেগুন ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক হালি লেবুর জন্য গুনতে হচ্ছে ১০০ টাকা। একজন বিক্রেতা বলেন, লেবুর দাম ৫০-৬০ টাকা। তবে রমজানে দাম কিছুটা বাড়তে পারে। একজন ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, সিন্ডিকেট কেবল বেড়েই চলবে। দামও বাড়বে সেই হারে। একটা লেবুর দাম কীভাবে ২৫ টাকা হয়!

রমজান মাসে ভোজ্যতেলের চাহিদা থাকে ৪ লাখ টন, চিনি ৩ লাখ টন, ও ছোলার প্রয়োজন ১ লাখ মেট্রিক টন। রমযান ঘিরে, ছোলা, ডাল, চিনিসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণের দাবি ক্রেতাদের। একজন ক্রেতা বলেন, নিয়ন্ত্রণ করতে হবে সরকারকে। আমরা সাধারণ জনগণ। আমাদের কিনতে হবে, খেতে হবে। বাজার নিয়ন্ত্রণ তো আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।

আরও পড়ুন: রমজানের আগেই অস্থির খেজুরের বাজার

/এম ই

Exit mobile version