Site icon Jamuna Television

ট্রেন-বাসে শিডিউল বিপর্যয়; চরম ভোগান্তিতে ঘরমুখো যাত্রীরা

কাল বাদে পরশু পবিত্র ঈদুল আজহা। প্রিয়জনের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে শেষ মুহূর্তেও রাজধানী ছাড়ছেন হাজারো মানুষ। কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ঢাকা ছাড়ছে বাস, ট্রেন ও লঞ্চ। রেলপথের যাত্রীদের আজও পড়তে হচ্ছে শিডিউল বিপর্যয়ের ভোগান্তিতে।

বাস-ট্রেন-লঞ্চে ঈদযাত্রায় শেষ মুহূর্তে চরম ভোগান্তি যাত্রীদের, যানবাহনের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে দেখা গেছে ঘরমুখো মানুষের; অভিযোগ রয়েছে বাড়তি ভাড়া আদায়েরও।

সকাল থেকে রাজধানীর কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেলস্টেশনে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। অনেকে ঝুঁকি নিয়েই ট্রেনের ছাদে করে যাচ্ছেন স্বজনের সাথে ঈদ করতে। দেখা দিয়েছে শিডিউল বিপর্যয়। ধুমকেতু, সুন্দরবনসহ প্রায় সবক’টি ট্রেন ছাড়ছে দুই থেকে তিন ঘণ্টা দেরিতে।

সংশ্লিষ্টদের ধারণা, আজও সব ট্রেন ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা দেরিতে ছাড়তে পারে। ফলে কমলাপুরে ট্রেনের অপেক্ষায় থাকা সাধারণ যাত্রীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। আজ সারাদিনে কমলাপুর থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ৬৮টি ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।

যাত্রী চাপ আছে বাস ও লঞ্চ টার্মিনালেও। বেশিরভাগ বাসই দেরিতে ছাড়ার অভিযোগ যাত্রীদের। সকাল থেকে সব মহাসড়কেই দেখা গেছে যানবাহনের বাড়তি চাপ।

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে থেমে থেমে চলছে গাড়ি। শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি ও দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাটে দেখা গেছে যানবাহনের দীর্ঘ সারি।

ট্রেনের মতো বাসেও ঘটছে শিডিউল বিপর্যয়। নগরীর বাস টার্মিনালগুলোতেও ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভীড়।
স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে শত ভোগান্তি উপেক্ষা করে বাসে করে বাড়ি ফিরছেন নগরবাসী। যাত্রীরা অভিযোগ করছেন প্রায় প্রতিটি বাসে ঘটছে শিডিউল বিপর্যয়।

যাত্রীরা জানান, প্রায় প্রতিটি বাস আধা ঘণ্টা থেকে ১ ঘণ্টা দেরি করে ছাড়া হচ্ছে। আর এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা।

তবে বাস কর্তৃপক্ষ জানান, সড়কে গাড়ির বাড়তি চাপ থাকায় গাড়ি ছাড়তে দেরি হচ্ছে। তবে টার্মিনালে গাড়ি আসা মাত্রই ছেড়ে দেয়া হচ্ছে বলেও জানান কর্তৃপক্ষ।

যমুনা অনলাইন: আরএম

Exit mobile version