Site icon Jamuna Television

ন্যাটো সম্মেলনের আগে জোরালো রুশ হামলার দাবি প্রত্যাখ্যান কিয়েভের

ইউরোনিউজ থেকে সংগৃহীত ছবি।

ন্যাটো সম্মেলন নিয়ে পশ্চিমাদের তোড়জোড়ের মধ্যেই ইউক্রেনে জোরালো হামলা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী। সোমবার (১০ জুলাই) কিয়েভের অস্ত্র ও গোলাবারুদের বিশাল মজুত ধ্বংসের দাবি করেছে মস্কো। ফ্রন্টলাইনে রুশ সেনাদের আগ্রাসনে পিছু হটছে জেলেনস্কি বাহিনী। তারা আবারও নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে বাখমুতের আশপাশের পুনরুদ্ধার করা বেশ কিছু এলাকা। তবে পুতিন প্রশাসনের এসব দাবি অস্বীকার করেছে কিয়েভ। দাবি, আগের তুলনায় কয়েকগুণ বেড়েছে পাল্টা হামলার গতি। খবর রয়টার্সের।

রুশ বাহিনীর ছোড়া মিসাইলের আঘাতে গুড়িয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের একের পর এক অস্ত্র, গোলাবারুদের ডিপো। রোববার (৯ জুলাই) দিনভর কিয়েভের সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে জোরালো হামলা চালায় মস্কো। ধ্বংস করে পশ্চিমাদের দেয়া ট্যাংক, ড্রোন রকেট, মিসাইলসহ অত্যাধুনিক অনেক যুদ্ধ সরঞ্জাম।

মস্কোর দাবি- পূর্বাঞ্চলে দিনভর হামলায় কোণঠাসা হয়ে পড়েছে কিয়েভ বাহিনী। পাল্টা অভিযানে গত একমাসে বাখমুতের আশপাশে যেসব এলাকা পুনরুদ্ধার করেছিলো ইউক্রেন, সেগুলো থেকেও পিছু হটছে তারা। বাখমুত ছাড়াও লিমান, আভদিভকা, মারিংকায়ও চাপে পড়েছে ইউক্রেনের ফ্রন্টলাইন। যদিও রণক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ার দাবি অস্বীকার করেছে জেলেনস্কির প্রশাসন। তাদের দাবি, পাল্টা হামলার পরিধি বেড়েছে কয়েকগুণ।

রাশিয়ার চিফ অব জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভ এ প্রসঙ্গে বলেন, আমরা সফলভাবে ইউক্রেনের সামরিক স্থাপনাগুলোয় হামলা চালিয়েছি। শত্রুদের অবস্থান চিহ্নিত করে কৌশলগত হামলা সামনে আরও জোরদার করা হবে। শত্রুপক্ষের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোই এখন আমাদের মূল টার্গেট। এছাড়া, তাদের পাল্টা হামলা প্রতিহত করতে সব ধরনের প্রস্তুতিই গ্রহণ করবো আমরা।

এদিকে, রুশ ভূখণ্ডে আবারও মিসাইল হামলার চেষ্টা চালিয়েছে ইউক্রেন- এমন অভিযোগ করেছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। জানানো হয়, সোমবার ব্রায়ানস্ক, রোস্তভ ও ক্রাইমিয়ায় চারটি মিসাইল ছোঁড়া হয়। তবে অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে প্রতিহত করা হয়েছে সবগুলো হামলা।

অপরদিকে, চলমান আগ্রাসনের জেরে জাপোরিঝিয়া পরমাণু কেন্দ্রকে ঘিরে আবারও বেড়েছে বিপর্যয়ের ঝুঁকি। চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে দিনপাত করছেন সেখানকার বাসিন্দারা। অবশ্য, স্পর্শকাতর এ স্থাপনাটির পরিকল্পিত ক্ষতির জন্য পরস্পরকে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ অব্যাহত রেখেছে মস্কো-কিয়েভ।

/এসএইচ

Exit mobile version