Site icon Jamuna Television

ভারতের বিপক্ষে ২ রানে হেরে এশিয়া কাপ থেকে যুব দলের বিদায়

সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপে পারেননি মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ফাইনালে রোহিত শর্মার বাহিনীর বিপক্ষে ৩ উইকেটের শ্বাসরুদ্ধকর হারে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে টাইগারদের।

সেই পরাজয়ের এক সপ্তাহ না যেতেই হেরে গেল যুব দল। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে মাত্র ২ রানে হেরে যায় স্বাগতিক বাংলাদেশ দল।

বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামা ভারতকে ১৭২ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ যুদ বল। সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১৭০ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই সময়ের ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ দল। ৬৫ রানে ৫ উইকেট পরে যাওয়ার পরও দলকে খেলায় ফেরাতে সক্ষম হন শামিম হোসেন ও আকবর আলী। ষষ্ঠ উইকেটে তাদের গড়া ৭৪ রানের জুটিতে জয়ের স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশ।

এরপর আবার ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে যায় স্বাগতিকরা। বাঁ-হাতি স্পিনার হরশ ত্যাগীর ঘূর্ণি বলে বিভ্রান্ত হয়ে সাজঘরে ফেরেন ৬৩ বলে ৪৫ রান করা আকবর আলী। স্কোর বোর্ডে আর মাত্র ৮ রান যোগ করতেই হারশের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন মৃত্যুঞ্জয়।

জয়ের জন্য শেষ ৪৪ বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল মাত্র ১২ রান। এমন অবস্থায় বিপদে পড়ে যান দুর্দান্ত খেলতে থাকা শামিম হোসেন। তাকে ফেরান অজয় গঙ্গাপুরম।

৮১ বলে পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কার সাহায্যে ৫৯ রান করে ফেরেন শামিম। তার বিদায়ের পর ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে যায় বাংলাদেশ। এরপর কোনো রান যোগ করার আগেই ফেরেন শরিফুল ইসলাম।

শেষ ২২ বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৩ রান। হাতে ছিল ১ উইকেট। এমন শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে রান আউট হন মিজানুর রহমান। তার বিদায়ে জয়ের স্বপ্ন ভেস্তে যায় বাংলাদেশের।

এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নেয় ভারত। তবে শুরুটা ভালো হয়নি পড়শিদের। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে ইনফর্ম দেবদূত পাদিক্কালকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন পেসার শরিফুল ইসলাম।

অনুজ রাওয়াতকে নিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা সামলে ওঠেন যশাস্ভি জাইসওয়াল। দ্বিতীয় উইকেটে ৬৬ রানের জুটি গড়েন তারা। রাওয়াতকে (৩৫) ফিরিয়ে সেই জুটি ভাঙেন অধিনায়ক তৌহিদ হৃদয়। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ভারত।

টাইগার বোলারদের তোপে কোণঠাসা হয়ে পড়ে প্রতিবেশি দলটি। রিশাদ হোসেনের লেগ স্পিন ভেলকিতে শূন্য রানেই সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক সিমরান সিং। এরপর জোশ রাথডকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান হৃদয়।

একে একে টপার্ডারের সবাই ফিরে গেলেও শিকর গেঁড়ে থেকে যান জাইসওয়াল। পরের ওভারে তাকে (৩৭) বোল্ড করে দেন প্রতিপক্ষের বিষদাঁতা ভেঙে দেন রিশাদ। এতে ৭৭ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে ভারত।

এরপর প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন আয়ুশ বাদোনি ও সামির চৌধুরী। বাদোনিকে (২৮) ফিরিয়ে তাদের প্রতিরোধ ভাঙেন মিনহাজুর রহমান। এরপর সামিরকে (৩৬) ফিরিয়ে তাদের মেরুদণ্ড ভেঙে দেন শরিফুল।

এ জুটি ভাঙার পর ভারতকে অলআউট করা সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশের যুবাদের। ইনিংসের ৩ বল বাকি থাকতে ১৭২ রানে ‘মিন ইন ব্লুদের’ গুঁড়িয়ে দেয় তারা। বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে সফল শরিফুল, ১৬ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট শিকার করেছেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, রিশাদ হোসেন ও তৌহিদ হৃদয়।

Exit mobile version