Site icon Jamuna Television

বাবার মৃত্যুর আধাঘণ্টা পর মেয়ের আত্মহত্যা

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় বাবার রহস্যজনক মৃত্যুর আধাঘণ্টা পর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে এক মেয়ে। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দুপুরে দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এর আগে, বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় নোয়াখালী পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, নোয়াখালীর পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের উকিল পাড়ার নরেশ চন্দ্র দে (৫০) ও তার মেয়ে তিশা দে (১৯)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত নরেশ চন্দ্রের মেয়ে তিশা ফেনীর একটি কলেজে পড়ত। সেখানে পড়া অবস্থায় একটি মুসলিম ছেলেকে সে বিয়ে করে। বিষয়টি তার বাবা জানতে পেরে তাকে ফেনী থেকে নোয়াখালীর মাইজদীর নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে।

মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এ নিয়ে মেয়েকে বোঝানোর অনেক চেষ্টা করেন বাবা। সে যেন তার স্বামীর সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করে। কিন্তু মেয়ে তার স্বামীর পক্ষে অনড় ছিল। জানা যায়, বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নিহতের ছোট ছেলে স্কুলে যাওয়ার সময় বাবার কাছে টাকার জন্য গেলে দেখে তার বাবার নিথর দেহ তার রুমে পড়ে আছে। আশে পাশে রক্ত। ডায়ালাইসিসের ফিস্টুলার স্থান থেকে রক্ত বের হচ্ছে। পরে তার চিৎকার শুনে পরিবারের অন্য সদস্যরা এগিয়ে আসে। নিজের বাবার এ অবস্থা দেখে তিশা পরিবারের সদস্যদের অগোচরে আলাদা একটা রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেয়। পরে পরিবারের সদস্যরা দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করে।

খবর পেয়ে দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল সম্পন্ন করে। সুধারাম থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, নরেশ কিডনি রোগী ছিলেন।  তিনি বাসায় ডায়ালাইসিস করতেন। তার মেয়ে ফেনী মেডিকেলে পড়ত। সেখানে একজন মুসলিম ছেলেকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করে। বিষয়টি তিনি ভালোভাবে নেননি। এজন্য মেয়েকে ফেনী থেকে নিয়ে আসেন। ওসি রনি আরও বলেন, এরপর মেয়েকে সারা রাত বুঝানোর চেষ্টা করেন। মেয়ে নাছোড়বান্দা। এ নিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করে তিনি স্ট্রোক করে মারা যান। পরবর্তীতে বাবার মৃত্যুর আধাঘণ্টা পর মেয়ে গিয়ে আত্মহত্যা করে।

উল্লেখ্য, বিকেল ৪টার দিকে মরদেহ দুটি ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।

/এমএইচআর

Exit mobile version