Site icon Jamuna Television

বিতর্কিত আজভ ব্যাটালিয়নের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলো যুক্তরাষ্ট্র

রাশিয়াকে ঠেকাতে এবার ইউক্রেনের কট্টরপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী অ্যাজভ ব্যাটালিয়নের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে ওয়াশিংটনের কাছ থেকে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ পেতে বাধা নেই বিতর্কিত ব্যাটেলিয়নটির। লুটপাটসহ নানা নৃশংসতা চালানোর অভিযোগ রয়েছে ইউক্রেনের এই সামরিক ইউনিটটির বিরুদ্ধে। মার্কিন সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে রাশিয়া।

ইউক্রেনের প্যারামিলিটারি বাহিনীর স্পেশাল ফোর্স, অ্যাজভ ব্রিগেড বাহিনীটিতে রয়েছে কয়েক হাজার সদস্য। মূলত পদাতিক বাহিনী হলেও, বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধ কৌশলে পারদর্শী এর সদস্যরা। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে গেরিলা হামলা চালিয়ে বড় সফলতা পেয়েছে অ্যাজভ বাহিনী।

২০১৪ সালে দোনেস্ক এবং লুহানস্কে রুশ আগ্রাসনের সময় গড়ে তোলা হয় অ্যাজভ ব্রিগেড। মূলত রুশ বিদ্রোহীদের দমাতেই নয়া নাৎসি ও কট্টরপন্থী মতাদর্শে বাহিনীটি গঠন করে ইউক্রেন। প্যাট্রিয়ট অব ইউক্রেন এবং সোশ্যাল ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি নামের উগ্রবাদী দুটি গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে তোলা হয় অ্যাজভ। সৃষ্টির পর থেকেই বাহিনীটির পিছু নেয় বিতর্ক।

অশ্বেতাঙ্গ সংখ্যালঘু এবং রোমা সাম্প্রদায়ের নাগরিকদের ওপর নিপীড়নের অভিযোগ ওঠে অ্যাজভ ব্যাটেলিয়নের বিরুদ্ধে। ২০১৬ সালে সাধারণ নাগরিকদের সম্পদ লুটসহ বাহিনীটির বিরুদ্ধে নানা নৃশংসতার অভিযোগ আনে জাতিসংঘ। এরপরই এটিকে কালোতালিকাভুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডা। দেয়া হয় অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ নিষেধাজ্ঞা।

যুদ্ধের ময়দানে যখন রাশিয়ার মুহুর্মুহু হামলায় কোণঠাসা ইউক্রেন, তখন বিতর্কিত এই উগ্র ডানপন্থী সামরিক ইউনিটটির ওপর থেকে এবার সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির দাবি, অ্যাজভ বাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ পায়নি তারা। রাশিয়ার অভিযোগ যুদ্ধের ময়দানে ইউক্রেনকে সুবিধা দিতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়াশিংটন।

এ ব্যাপারে ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, এটি অত্যন্ত নেতিবাচক সিদ্ধান্ত। অ্যাজভ ব্রিগেড একটি কট্টর জাতীয়তাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী। ওয়াশিংটনের এই অবস্থান এটাই স্পষ্ট করে যে, তারা ইউক্রেন এবং ইউক্রেনীয় জনগণকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে একটি হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে। বোঝা যাচ্ছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে তারা যেকোনো পদক্ষেপই নিতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার সিদ্ধান্তে অবশ্য বেশ খুশি অ্যাজভ ব্রিগেড। তাদের দাবি, মার্কিন অস্ত্র আর প্রশিক্ষণ পেলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবে তারা।

এটিএম/

Exit mobile version