Site icon Jamuna Television

কোরবানির বর্জ্য পরিস্কারে মানতে হবে যেসব নিয়ম

কোরবানির পশু জবাই থেকে শুরু করে মাংস সংরক্ষণ- প্রতিটি ধাপেই পরিচ্ছন্নতাকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। সঠিক উপায়ে কোরবানির রক্ত ও বর্জ্য পরিস্কার করা না হলে বাড়বে স্বাস্থ্যঝুঁকি। জমাট পানির কারণে বাড়তে পারে ডেঙ্গুর প্রকোপও। তাই শুধু সরকারি প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভর না করে নাগরিকদেরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

কোরবানির পশু জবাই, মাংস কাটাকাটি থেকে সংরক্ষণ পর্যন্ত নানা ধাপে নানা নিয়ম মানতে হয়। পশুর রক্ত, বর্জ্যের কারণে দূষিত হয় পরিবেশ। যা অসচেতনতার জেরে মারাত্মক রোগের সংক্রমণ ঘটতে পারে। তাই কোরবানির পর ঘরে-বাইরে পরিস্কার রাখতে ছোটখাটো বিষয়গুলোও হয়ে উঠে গুরুত্বপূর্ণ।

কোরবানির পরপরই রক্ত, মলমূত্র ও বর্জ্য দ্রুত সরিয়ে ফেলতে হবে। পশু জবাইয়ের স্থানে ব্লিচিং পাউডার ছড়িয়ে দিতে হবে।

কাঁচা মাংস থেকে যেন রোগ-জীবানু না ছড়ায়, সেটাই খেয়াল রাখতে হবে বেশি। ঘরের সুরক্ষার জন্য মাংস কাটার জায়গা ধুয়ে বিছাতে হবে প্লাস্টিকের শিট। এরপর মাংস কাটা হয়ে গেলে গরম পানি, ডিটারজেন্ট দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। ব্যবহারের পর মাংস কাটার সরঞ্জাম ও পাত্রগুলোর পরিচ্ছন্নতাও জরুরি। ঘর থেকে মাংসের দুর্গন্ধ দূর করতে লেবুর রস, বেকিং সোডা ব্যবহার করা যেতে পারে।

ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিত করাও প্রয়োজন। মাংস কাটার সাথে জড়িত কেউ যেন সংক্রামক রোগে আক্রান্ত না হয়, সেদিকেও নজর দিতে হবে। জীবাণুর বিস্তার রোধে অ্যান্টিসেপটিক লিকুইড ব্যবহার করা দরকার, এমন মত বিশেষজ্ঞদের।

/এটিএম/এমএন

Exit mobile version