Site icon Jamuna Television

আমাকে জামিন না দেয়ায় ম্যাজিস্ট্রেটকেই বদলি করা হয়েছে; ইউপি চেয়ারম্যানের বক্তব্য ভাইরাল

বাউফল (পটুয়াখালী) করেসপনডেন্ট:

সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক, মুক্তিযোদ্ধাসহ একাধিক মানুষকে মারধর করে এবং সালিশ বিচারে অন্যের প্রেমিকাকে জোর করে বাল্যবিবাহ করে সমালোচিত হয়েছেন পটুয়াখালীর বাউফলের কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার। এসব ঘটনায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও হয়েছে। জেলও খেটেছেন একাধিকবার।

সম্প্রতি ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পূর্ব মুহূর্তে উপজেলার বীরপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলামকে কুপিয়ে জখম করেন এই ইউপি চেয়ারম্যান। এই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জেলহাজতে গিয়েছিলেন এই বিতর্কিত চেয়ারম্যান। হাজত থেকে জামিনে বেড়িয়ে বিচার বিভাগ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে ফের আলোচনায় চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার। এ সংক্রান্ত বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ছড়িয়ে পড়া ওই বক্তব্যে শাহিন হাওলাদার বলেন, নির্বাচনের সময় আমাকে ষড়যন্ত্র করে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সাজা দিতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমার নেতা আ.স.ম ফিরোজ এমপির হস্তক্ষেপের কারণে তারা সফল হয়নি। পরে ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় আমাকে গ্রেফতার করা হয়। গত বৃহস্পতিবার আমার জামিন হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আশিকুর রহমান যখন আমাকে জামিন দিতে অস্বীকৃতি জানায়, এরপর রোববারেই তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। এ সময় ওই ম্যাজিস্ট্রেট ষড়যন্ত্রকারী ও অর্থলোভী বলেও মন্তব্য করেন শাহিন হাওলাদার। বক্তব্যের শেষে তিনি বলেন, আমাদের দলের যারা এই ষড়যন্ত্রে জড়িত তারা সাবধান হয়ে যান।

তবে বক্তব্যটি নিজের নয় বলে দাবি করেছেন শাহিন হাওলাদার। যমুনা নিউজকে তিনি বলেন, ‘ওই বক্তব্য আমার না। কোনো এক্সপার্ট লোক হয়তো এডিটিং করে ভিডিওটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে।

/এনকে

Exit mobile version