Site icon Jamuna Television

৩৪ শটের টাইব্রেকারের ম্যাচে আয়াক্সের জয়

ইউরোপা লিগের তৃতীয় কোয়ালিফাই রাউন্ডের ম্যাচ। নেদারল্যান্ডসের ক্লাব আয়াক্সের মুখোমুখি হয়েছিল গ্রিসের ক্লাব পানাথিনাইকোস। আমস্টারডামের ইয়োহান ক্রুইফ অ্যারেনায় মাতেউস কারদোসোর ৮৯ মিনিটের একমাত্র গোলে ১-০ তে ম্যাচ জেতে গ্রিসের ক্লাব।

তবে গত সপ্তাহে এথেন্সে অনুষ্ঠিত প্রথম লেগের খেলায় ডাচ ক্লাব আয়াক্সও জিতেছিল ওই ১-০ ব্যবধানেই। আর তাই দুই লেগ মিলিয়ে ১-১ সমতা থাকায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। আর সেখানেই সব রোমাঞ্চ যেন নিংড়ে দিয়েছে ফুটবল বিধাতা।

অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি। প্রায় ২৫ মিনিট ধরে চলেছে নাটকীয় পেনাল্টি শ্যুট আউট। ফলাফল পাওয়ার জন্য দুই দলকে শট নিতে হয়েছে ৩৪টি। ম্যারাথন এই টাইব্রেকারে তৈরি হয় শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি।

নিয়মানুযায়ী প্রথমে দুই দলের জন্যই বরাদ্দ ছিল পাঁচটি করে শট। প্রথম শটেই পানাথিনাইকোসের গোল প্রতিহত করেন আয়াক্সের কিপার। অন্যদিকে গোল দিয়েই শুরু করে আয়াক্স। এরপর টানা চার গোল করে গ্রিসের ক্লাব পানাথিনাইকোস। ৫-৪ এ ম্যাচ জেতার জন্য আয়াক্সের অপেক্ষা পঞ্চম গোলের। তবে শেষ শটে হলো না লক্ষ্যভেদ। ৪-৪ এ সমতা নিয়ে শুরু হয় সাডেন ডেথ।

একটি করে শট, যে দল এগিয়ে থাকবে তারাই হবে জয়ী। এই সহজ সমীকরণটাই যেন হয়ে ওঠে কঠিন। পানাথিনাইকোস গোল করলে, গোল করে আয়াক্সও। কখনও আয়াক্সের কিপার ঠেকিয়ে দেন তো উড়িয়ে মেরে জয় হাতছাড়া করেন তাদেরই শ্যুটার। এভাবে একের পর এক চলতে থাকে গোল হওয়া না হওয়ার সমতার লড়াই।

ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম এভাবে টাইব্রেকার গড়ায় ১৭তম রাউন্ড অবধি। ২৫ মিনিট টাইব্রেকার নাটকের পর আয়াক্স ম্যাচ জেতে ১৩-১২ ব্যবধানে। ৫টি পেনাল্টি শট ঠেকানোর পাশাপাশি একটি সফল স্পটকিকে নজর কাড়েন আয়াক্সের ৪০ বছর বয়সী গোলরক্ষক রেমকো পাসভার। আর শেষমেষ আয়াক্সের হয়ে বল জালে জড়িয়ে নায়ক বনে যান অ্যান্টন গায়েই।

ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার ইতিহাসে এটি পেনাল্টি শুটআউটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর। সবশেষ মৌসুমে কনফারেন্স লিগের কোয়ালিফায়ারে গ্লেনটোরানকে ১৪-১৩ ব্যবধানে হারিয়েছিল জিরা ইউনাইটেড। তবে মোট শটের ক্ষেত্রে উয়েফার প্রতিযোগিতায় এটি বিশ্বরেকর্ড। এর আগে ২০০৭ সালে উইরোপিয়ান অনূর্ধ্ব-২১ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে সর্বোচ্চ টাইব্রেকার হয়েছিল ৩২ শটের।

/এনকে

Exit mobile version