Site icon Jamuna Television

দেড়শোর আগেই অলআউট বাংলাদেশ

বাংলাদেশের উইকেটে ভারতের খেলোয়াড়দের উদযাপন

চেন্নাই টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩৭৬ রান করেছে ভারত। তাই ফলো অন এড়াতে হলে বাংলাদেশকে নিজেদের প্রথম ইনিংসে অন্তত ১৭৭ রান করতে হতো। কিন্তু সেটাও করতে পারেনি বাংলাদেশ। দেড়শোর আগেই অলআউট হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। তবে বাংলাদেশকে ফলো অন না করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।

৪৭ ওভার ১ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান তুলেছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেছেন সাকিব। প্রথম ইনিংসে ২২৭ রানের লিড পেয়েছে ভারত।

চেন্নাই টেস্টের দ্বিতীয়দিন রীতিমতো আগুন ঝরিয়েছেন জাসপ্রিত বুমরাহ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাফল্যের দেখা পেয়েছেন এই ডানহাতি পেসার। ওভারের শেষ বলটি গুড লেংথে অফ স্টাম্পের ওপর করেছিলেন বুমরাহ। আউট সুইংয়ের আশায় ব্যাট উঁচিয়ে বল ছেড়ে দিয়েছিলেন সাদমান ইসলাম, তবে তার ধারণা ভুল প্রমাণিত হল। ইনসুইং করে অফ স্টাম্পে আঘাত হানে বল। ২ রান করে বিদায় নেন সাদমান।

এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে বেশ সতর্ক ছিলেন জাকির হাসান-শান্ত। তবে লাঞ্চ ব্রেকের ঠিক আগের ওভারেই জাকিরকে বোল্ড করেন আকাশ দীপ। ইনিংসের ৯ম ওভারের প্রথম বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে থেকে ইনসুইং করে জাকিরের মিডল স্টাম্প উপড়ে দেয়। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২২ বলে ৩ রান।

পরের বলটিও একই জায়গায় করেন আকাশ, ফলাফলই এসেছে একই। ঠিক যেন আগের বলে কার্বন কপি। এবার শুধু ব্যাটার বদল, জাকিরের জায়গায় মুমিনুল হক। দুই ওপেনারের ব্যর্থতার দিনে গুরু দায়িত্ব ছিল মুমিনুলের কাঁধে। তবে ব্যর্থ হয়েছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটারও। গোল্ডেন ডাক মেরে দলের বিপদ আরও বাড়ান তিনি।

লাঞ্চ বিরতি থেকে ফিরে আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি শান্ত। দ্বিতীয় সেশনের তৃতীয় ওভারেই সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। মোহাম্মদ সিরাজের আউট সুইং বলে খোঁচা মেরে দ্বিতীয় স্লিপে কোহলির হাতে ক্যাচ দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৩০ বলে ২০ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

দলের বিপর্যয়ে হাল ধরতে পারেননি মুশফিকুর রহিমও। শান্ত ফেরার পরের ওভারেই অভিজ্ঞ এই ব্যাটার আউট হয়েছেন ১৪ বলে ৮ রান করে। বুমরার সুইং ও বাউন্স হওয়া বল মুশফিকের ব্যাটে লেগে যায় দ্বিতীয় স্লিপে। সেখানে দুই হাতে দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন লোকেশ রাহুল।

স্কোরবোর্ডে ৪০ রান তুলতেই প্রথম সারির পাঁচ ব্যাটারকে হারায় বাংলাদেশ। দলের এমন বিপর্যয়ে হাল ধরেছিলেন সাকিব আল হাসান-লিটন দাস। এই দুজনে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে দলকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টাও করছিলেন। তবে ২২ রান করে লিটন ফেরায় ভাঙে ৫১ রানের জুটি। এরপর সাকিবও আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৩১তম ওভারে জাদেজার বলে ক্যাচ দেয়ার আগে ৩২ রান করেন তিনি। ৯২ রানে ৭ উইকেট হারানো বাংলাদেশ একশো পার করে হাসান-মিরাজ জুটিতে।

২০ রানের এই জুটি ভাঙেন বুমরাহ। কোহলির হাতে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ৯ রানে সাজঘরে ফেরেন হাসান। এরপর এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তবে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি কেউই। হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদ, নাহিদ রানারা দ্রুত ফিরলে ১৪৯ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। মিরাজ অপরাজিত থাকেন ২৭ রান করে। বুমরাহ চারটি, আকাশ-জাদেজা ও মোহাম্মদ সিরাজ শিকার করেছেন দু’টি করে উইকেট।

/এনকে

Exit mobile version