Site icon Jamuna Television

নাটোরে স্বামী হত্যার শোকে স্ত্রীর মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার, নাটোর:

স্বামী হত্যার তিনদিন না পেরুতেই শোকে বিহ্বল স্কুল শিক্ষিকা এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে চলে গেছে, না ফেরার দেশে। তিন বছরের শিশুকন্যা জান্নাতুল ফেরদৌস বিদ্যা এখনও জানে না মা বাবা হারানোর শোক। ১৪বছর বয়সী আব্দুল্লাহও কাঁদতে কাঁদতে এখন নির্বাক। নাটোরের লালপুরে এমনই ঘটনায় পুরো এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

মা-বাবা হারিয়ে নির্বাক ১৪বছর বয়সী আব্দুল্লাহ ও তিন বছরের শিশু জান্নাতুল ফেরদৌস বিদ্যা।

গত ২০ জানুয়ারি। সেদিন প্রকাশ্য দিবালোকে নিজবাড়ীর সামনে গোপালপুর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জামিরুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এরপর থেকেই শোকে অসুস্থ হয়ে পড়েন তার স্ত্রী বিরোপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা আছিয়া খাতুন। স্বামীর শোকে নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দেওয়া আছিয়া ব্রেইন স্টোক করেন বুধবার দিবাগত রাতে। সেখান থেকে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেবার পর মৃত্যু হয় তার।

তিনদিনের ব্যবধানে স্বামী স্ত্রী মৃত্যুতে শোকে কাতর পুরো স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবাই। একজন জনপ্রতিনিধির নির্মম হত্যার বিচার চান তারা।

কাউন্সিলর জামিরুল ইসলাম হত্যার পরের দিন নিহতের বড় ভাই শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে লালপুর থানায় ২০ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঐ দিনই এজাহারভুক্ত ৪জন (রবিউল ইসলাম রান্টু, রিজভী, রায়হান ও সোহাগ) আসামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

প্রকাশ্য দিবালোকে এমন নির্মম হত্যাকান্ডে হতবাক সবাই। শান্তির জনপদ এই এলাকায় আর যেন এমন নির্মম হত্যাকান্ডে যাতে আর কোন শিশু তার বাবা-মা হারা না হয় সেজন্য পুলিশের তৎপরতা জোরদার এবং অভিযুক্ত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আহবান জানান স্থানীয় সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল ।

Exit mobile version