ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়া উপকূলে অভিবাসনপ্রত্যাশী বোঝাই নৌকাডুবিতে প্রাণ গেছে অন্তত ৬৫ জনের। শুক্রবারের দুর্ঘটনায় নিহতদের বেশির ভাগই বাংলাদেশি। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রেডক্রস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এছাড়া জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ১৬ জনকে। যার ১৪জনই বাংলাদেশি।
অবৈধ পথে লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার পথে ডুবে যায় অভিবাসী বোঝাই একটি নৌকা। এতে প্রাণ হারায় অন্তত ৬৫ জন। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রেডক্রস বলছে, নিহতদের বেশির ভাগই বাংলাদেশি। এছাড়া মরক্কো, মিশর এবং আফ্রিকার রয়েছে বেশ কয়েক জন। এ ঘটনায় জীবিত উদ্ধার হওয়া ১৬ জনের মধ্যে ১৪জন বাংলাদেশি।
জাতিসংঘের অভিবাসী বিষয়ক সংস্থা-IMO বলছে, বৃহস্পতিবার লিবিয়া থেকে ইউরোপের পথে যাত্রা শুরু করে নৌযানটি। শুক্রবার তারা দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কবলে পড়ে। একসময়, ঝড়ো হাওয়ার তোড়ে উল্টে যায় নৌকাটি। উদ্ধারে এগিয়ে আসে তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রেডক্রসসহ স্থানীয়রা। জীবিত উদ্ধারকৃতদের দেয়া হচ্ছে সব ধরণের সহায়তা।
জীবিত উদ্ধারকৃতদের মধ্যে মরক্কের একজন রয়টার্সকে জানায়, “আমরা লিবিয়া থেকে রওনা দিয়েছিলাম। প্রথমে বড় নৌকা চাইলেও দালালরা ছোট নৌকায় করে আমাদের পাঠায়। আমাদের মধ্যে বাংলাদেশি সবচেয়ে বেশি ছিলো। ঝড়ের কারণেই দূর্ঘটার শিকার হই। কোন মতে প্রাণে বেঁচেছি।”
জীবিত ১৪ বাংলাদেশির মধ্যে আহমেদ বেলাল নামের এক জনের পরিচয় নিশ্চিত করেছে বিভিন্ন গণমাধ্যম। তার গ্রামের বাড়ি সিলেটে। জাতিসংঘের পরিসংখ্যান বলছে, গেলো বছর ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার সমায় প্রাণ গেছে প্রায় আড়াই হাজার মানুষের।

